২৮ মার্চ, ২০১৫ ১৭:৩৬
হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দৃশ্যমান না হওয়ার প্রেক্ষিতে হরতালের পর এবার অবরোধ কর্মসূচিও ওঠিয়ে নিলো বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় ঐক্যজোট।
শনিবার (২৮ মার্চ) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলুর নামে যে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে এসেছে, তাতে রোববার সারাদেশে গণমিছিলের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আগের বিবৃতিতে অবরোধের সঙ্গে মিছিলের কর্মসূচির উল্লেখ থাকলেও এবার অবরোধেরও কোনো কথা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গ্রেপ্তারের পর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ সারাদেশে বিরোধীদলীয় গুমকৃত নেতা-কর্মীদেরকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় তাদের পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়ার দাবিতে এবং নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামীকাল ২৯ মার্চ, রোববার দেশব্যাপী সকল জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও সকল মহানগরের থানায় থানায় ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।”
২০ দলের কর্মসূচি হিসেবে জানুয়ারিজুড়ে অবরোধের পর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে সপ্তাহের পাঁচ দিন হরতাল ডেকে বিএনপির নামে বিবৃতি আসছিল। তবে ২৪ মার্চ বুলুর নামে আসা বিবৃতিতে তার ব্যতিক্রম দেখা যায়।
২১ মার্চ বুলুর নামে আসা বিবৃতিতে ২৫ মার্চ বুধবার ভোর পর্যন্ত হরতালের বার্তা ছিল। তারপর ২৫ মার্চ দিনভর এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কোনো হরতাল ছিল না।
সাপ্তাহিক ছুটির পর শনিবার নতুন করে হরতালের বার্তা এলেও এবার তা দেখা যায়নি। অর্থাৎ রোববার হরতালের কোনো ঘোষণা থাকছে না।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ডাকার পর ২০ দলের পক্ষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হরতাল ডাকেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিবৃতি পাঠিয়ে ডাকা হরতাল-অবরোধে এসএসসি পরীক্ষা পেছালেও সারাদেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এবং অফিস-আদালত খোলাই থাকছে। সড়ক, নৌ ও রেলপথে চলাচলও রয়েছে। শুরুতে অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকলেও আড়াই মাস পর তা অনেকটাই কমে এসেছে।
আপনার মন্তব্য