৩০ মার্চ, ২০১৫ ০৩:২০
ঢাকা (উত্তর-দক্ষিণ) সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। নির্বাচনে অংশগ্রহনেচ্ছুকেরা বেশ ঘটা করেই তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রবিবার।
তিন সিটির নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট এক হাজার ৮৩৩ জন। শুধু মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ২১ জন, দক্ষিণে ২৬ জন এবং চট্টগ্রামে ১৩ জন। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট এক হাজার ৭৭৩ জন।
রোববার (২৯ মার্চ) বিকেলে শেষ মুহূর্তে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহীরা।
চলমান আন্দোলনে নাশকতার মামলা থাকায় গ্রেফতার এড়াতে স্ত্রী-সন্তান, আইনজীবী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অনেক বিএনপি নেতা। এ নিয়ে বিএনপি শিবিরে কিছুটা আতঙ্কও বিরাজ করে।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে গতকাল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অবরোধ বহাল রাখলেও হরতাল দেয়নি। আজ ভোর ৬টা থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকলেও আওতামুক্ত রাখা হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরকে।
ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন আনিসুল হক। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার বড় ছেলে তাবিথ এম আউয়ালও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে। এই সিটিতে মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসসহ একই দলের চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
একইভাবে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম নিজ নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগ তিন সিটিতে দল সমর্থিত একক মেয়র প্রার্থী দিলেও বিএনপি ঢাকায় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে সমর্থন দেয়নি।
ঢাকা উত্তরে ৩৬টি ওয়ার্ডে ৪৯৪ জন, দক্ষিণ সিটিতে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৬৩২ জন এবং চট্টগ্রামে ৪১টি ওয়ার্ডে ২৮৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঢাকা উত্তরের ১২টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৩৫ জন, দক্ষিণে ১৯ ওয়ার্ডে ১৫৩ জন এবং চট্টগ্রামে ১৪টি ওয়ার্ডে ৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিন সিটির রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আগামী ১ ও ২ এপ্রিল মঙ্গল ও বুধবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। ২৮ এপ্রিল তিন সিটিতে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। ওই দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচন আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগে, অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের আগে কোনো প্রার্থী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
মেয়র পদে ঢাকা দক্ষিণের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যারা
মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, মো. আব্দুল খালেক, মো. জাহিদুর রহমান, আবু নাছের মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, মো. বাহারানে সুলতান বাহার, এএসএম আকরাম, শাহীন খান, দিলীপ ভদ্র, মো. শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, মো. বাবুল সরদার চাখারী, মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, মো. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু, মো. আবদুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মশিউর রহমান, এএম আসাদুজ্জামান রিপন, মো. ইমতিয়াজ আলম, মো. গোলাম মাওলা রনি, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন ও কাজী আবুল বাশার।
মেয়র পদে ঢাকা উত্তরের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা
শামছুল আলম চৌধুরী, চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী, আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, ববি হাজ্জাজ, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, বাহাউদ্দিন আহমেদ, নাদের চৌধুরী, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, আবদুল আওয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, মো. নাঈম হাসান, আনিসুল হক, সারাহ বেগম কবরী, মো. আনিসুজ্জামান খোকন, তাবিথ আওয়াল, মো. জামান ভূঞা, শেখ শহিদুজ্জামান, মো. জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকী, মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ও মোস্তফা আজাদী।
চট্টগ্রামে যে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন
মোহাম্মদ মনজুর আলম, আ জ ম নাসির উদ্দীন, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো: শফিউল আজম, সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা, মোহাম্মদ ফোরকান চৌধুরী, আরিফ মইনুদ্দীন, এম এ মতিন, সোলায়মান আলম শেঠ, মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী, হোসাইন মোহাম্মদ মুজিবুল হক, সাইফুদ্দিন আহমেদ (রবি), মো. ওয়াজেদ হোসেন ভূঁইয়া।
আপনার মন্তব্য