সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:১২

মন্ত্রীদের উল্টোপথে গাড়ি চালনাকে ‘বুদ্ধিমত্তার পরিচয়’ দাবি এলজিআরডি মন্ত্রীর

মন্ত্রীদের সড়কে চলাচলের নিয়ম ভেঙে উল্টোপথে গাড়ি চালনার মাধ্যমে যানজটের সৃষ্টি হয় এমনটা করেন না, একই সঙ্গে সিকিউরিটি বিষয়ে এটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ প্রসঙ্গে সড়কে উল্টোপথে চললে মন্ত্রী, এমপি, ভিআইপি হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যে হুশিয়ারি দিয়েছেন, তাতে একমত হতে পারেননি তিনি।

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের এ মন্ত্রী মনে করেন, নিরাপত্তার প্রয়োজনেই মন্ত্রীরা অনেক সময় সড়কের নিয়ম ভেঙে উল্টোপথ ব্যবহার করেন।

বৃহস্পতিবার মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশ উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মোশাররফ বলেন, “আমার বিবেচনায় এটা যানজট সৃষ্টির কোনো বিষয়ই না, বরং একজন মন্ত্রীর সিকিউরিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ- এটা কেউ বিবেচনা করলে আমি বলব যে, সে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছে।”

সড়কে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আইন ভেঙে উল্টো পথে গাড়ি চালানোর প্রবণতাকে যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন সময়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবায়দুল কাদের।

গত ৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পুলিশকে বলা হয়েছে রং সাইডে যারাই যাবেন; তিনি মন্ত্রী হন, এমপি হন, ভিআইপি হন, যে-ই হন, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধেও ঠিক একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এটা একটা কোশ্চেন অব পারসেপশন। আমিও একটা ফ্ল্যাগ নিয়ে চলি। শত চেষ্টা করেও আমি উল্টো দিকে যাওয়া বন্ধ করতে পারি না।

“যারা এটা করে তারা আমার নিরাপত্তাকে প্রাইম হিসেবে দেখে। তারা কখনও মনে করে না, একটা গাড়ি উল্টো দিকে গেলে যানজটের সৃষ্টি হয়।”

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “অন্য কেউ যদি মনে করেন একটা গাড়ি গেলেই.....এটা হয়তো পাবলিসিটি স্ট্যান্ড। এখানে আমাদের করণীয় নেই। তারা (নিরাপত্তারক্ষী) মনে করে, একজন মন্ত্রী আক্রান্ত হলে তা সমস্ত গভর্নমেন্টের কলঙ্ক। পাবলিসিটি করার জন্য কেউ উল্টা কথা বলে তাহলে সেটা তার ব্যাপার।”

উল্লেখ্য, এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ এর আগে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে মোশাররফকে দেওয়া হয় এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত