রাইআন কাব্য

০৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ২২:২৭

খালেদার গ্রেফতার: দুই মন্ত্রির পরষ্পরবিরোধি বক্তব্য

বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিশ দলীয় জোট নেত্রি বেগম খালেদা জিয়াকে যে কোন মুহুর্তে গ্রেফতার করা হতে পারে- এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সময়ের সাথে সাথে গুজব পাখা মেলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরষ্পরবিরোধি বক্তব্যও দিয়েছেন সরকারের প্রভাবশালি দুই মন্ত্রি।



তথ্যমন্ত্রি হাসানুল হক ইনু বলেছেন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা মামলার আসামি করা হতে পারে। আসামি হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের কোন পরিকল্পনার বিষয়ে এই মূহুর্তে সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়নি, তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলেও জানান।



এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার শুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় এখনও ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আড়াআড়িভাবে করে রাখা বালু ও ইটভর্তি ট্রাকগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিন্তু এখনও ফটকে ঝুলছে তালা।



নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল করা হলেও খালেদা জিয়া এখনও ‘অবরুদ্ধ’ অবস্থায় আছেন। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবি এম এমাজউদ্দিন আহমেদ বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমাজউদ্দিন আহমেদ জানান, বেগম জিয়া অসুস্থ বলে তাঁকে দেখতে এসেছিলেন।



তাবলিগ জামায়াতের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকারে তারা আগামি ৯ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমায় বেগম জিয়াকে দাওয়াত করেন এবং অবরোধ কর্মসূচি সম্পর্কেও কথা বলেন।



শনিবার ( জানুয়ারি) রাত থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হলেও তাঁর সাথে দেখা করতে বাইরে থেকে বিএনপির কোন নেতা গুলশান কার্যালয়ে আসতে পারেননি। ফলে তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে আছেন তিনি।  



অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে কবে মুক্তি দেওয়া হবে সে সম্পর্কে এখনও কেউ নিশ্চিত নন। এদিকে গ্রেফতার বিষয়ে দুই মন্ত্রির পরষ্পরবিরোধি মন্তব্য খালেদা জিয়া সম্পর্কে সরকারের অবস্থানকে পরিষ্কার করেনি।



একটি সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গ্রেফতার, রিজভীকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থায় রেখে আন্দোলন থেকে সরে আসার পরোক্ষ চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। অবরোধের সমাপ্তি ঘোষণার পর ফটকের তালা খুলে দেওয়া হতে পারে। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত