২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ১৯:৩২
মঙ্গলবার একযোগে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কারচুপির অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, সিপিবি-বাসদ ও গণসংহতি আন্দোলন নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছিল আখ্যা দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৬টায় নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রতি কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, দুপুরে প্রথমে চট্টগ্রামের বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।
এরপর দুপুরে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউঁয়াল এবং ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বিএনপির নির্বাচন বরজনের ঘোষণা দেন।
দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে তার দল গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী জোনায়েদ আব্দুর রহীম সাকি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনকে ‘তামাশা’ ও ‘প্রহসন’ বলে নির্বাচন ও এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দেন।
বিকেলে কারচুপির অভিযোগ এনে ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ও নির্বাচন ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে সিপিবি-বাসদ ও তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা। তারা একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন উল্লেখ করে তার পদত্যাগ দাবি জানান।
কেন্দ্র দখল ও কারচুপির অভিযোগ বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে’ ভোটগ্রহণ চলছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আপনার মন্তব্য