সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ এপ্রিল, ২০১৭ ২১:৫৬

বিয়ে করছেন জাপার বাবলু, কনে এরশাদের ভাগ্নি

বয়স তাঁর ষাটের কাছাকাছি। স্ত্রী মারা গেছেন এক যুগ আগে। ছেলে আছেন, আছেন ছেলের বউও। বিয়ে করছেন আবারও, কনে দলের চেয়ারম্যানের এরশাদের ভাগ্নি। তিনি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ সহকারী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি।

এরশাদের ভাগ্নি মেহেজেবুননেছা রহমান টুম্পার সঙ্গে ২১ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন বাবলু। সে সূত্রে এরশাদ হতে যাচ্ছেন বাবলুর শ্বশুর।

দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এরশাদের উদ্যোগেই জিয়াউদ্দিন বাবলু আবার বিয়ে করছেন। ঘরোয়াভাবে এ বিয়ে অনুষ্ঠান হবে। ২১ এপ্রিল সকালে বারিধারায় এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় আকদ এবং সন্ধ্যায় গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

জিয়াউদ্দিন বাবলু দশম জাতীয় সংসদে জাপার দলীয় সাংসদ। তার হবু শাশুড়ি মেরিনা রহমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। মামা শ্বশুর এরশাদও এ সংসদের সাংসদ। আর মামি শাশুড়ি রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।

জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। ফরিদা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বাবলুর হবু স্ত্রী মেহেজেবুননেছা রহমানও অধ্যাপক। তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর। প্রথম সংসারে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

এদিকে স্ত্রী ফরিদা সরকারের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে আশিক আহমেদকে নিয়ে আছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। ছেলে এমবিএ শেষ করে ব্যবসা করছেন, বিয়েও করেছেন।

জাপার মহাসচিব ছিলেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে তাকে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে সময় এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন এরশাদ। সম্প্রতি দলের কাউন্সিলেও মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। বাবলু দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে চেয়ারম্যানের সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সত্তরের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ছিলেন। ছিলেন ডাকসুর জিএস। এরশাদ সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ছাড়াও পরবর্তী সময়ে এই দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পর্যটনমন্ত্রীও ছিলেন। চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুরে তার গ্রামের বাড়ি হলেও জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে তিনি ছিলেন বেশি সম্পৃক্ত।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাপা নেতা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে ৭৯ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট আবু হানিফ হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৩ হাজার ৫৯৯ ভোট পান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত