সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ আগস্ট, ২০১৭ ১৬:০২

প্রধান বিচারপতি ‘ফেৎনা-ফ্যাসাদ’ সৃষ্টি করছেন: হাছান মাহমুদ

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা দেশে ‘ফেৎনা-ফ্যাসাদ’ সৃষ্টি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। ‘বাংলাদেশ ফেৎনা-ফ্যাসাদ প্রতিরোধ কমিটি’ নামের এক সংগঠনের মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন সাবেক বনমন্ত্রী। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধান বিচারপতি জাতীয় জীবনে সারা দেশে ফেৎনা-ফ্যাসাদের সৃষ্টি করছেন। যারা এই মুহূর্তে দেশে ফেৎনা সৃষ্টি করছেন, তাদের অন্যতম হলেন তিনি।”

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ষোড়শ সংশোধনীতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে আনা পরিবর্তন অবৈধ ঘোষণার রায় প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সারা দেশে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আপিল বিভাগের দেওয়া ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সিনহা ‘জাতীয় সংসদ ও বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করেছেন’ অভিযোগ তুলে সরকারি দলের নেতারা তার পদত্যাগও দাবি করেছেন।

প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করার পাশাপাশি ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে বক্তব্যের জন্য বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান হাছান মাহমুদ। গত ২৪ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সেই গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগই চালিয়েছিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। ২১ শে অগাস্টের মদদদাতা হিসেবে তিনি যুক্ত ছিলেন কিনা, সেটি বের করা হোক।

ওই হামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হলেও পরে আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্ত হয়। মামলার আসামির তালিকায় যুক্ত হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ অনেকে।

হাছান মাহমুদ বলেন, “শুধু তারেক রহমান একা কেন দায় নেবেন? এর সাথে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। আর রিজভী ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উসকানিমূলক বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তারাও এর সাথে জড়িত ছিলেন।”

'দেশ ও গণতন্ত্রের ষড়যন্ত্রকারী মানবতাবিরোধী ঘাতকদের প্রতিরোধের’ দাবিতে আয়োজিত এ মানববন্ধনে ‘বাংলাদেশ ফেৎনা-ফ্যাসাদ প্রতিরোধ কমিটি’র সভাপতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুও বক্তব্য দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত