সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ১৩:০৫

মুচলেকায় খালেদা জিয়ার জামিন

এক লাখ টাকা মুচলেকা ও দুইজনের জিম্মায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরে জামিন আবেদন করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জামিন চান।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার কিছু পর তিনি আদালতে পৌঁছান। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণের জন্য খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের বাসা থেকে বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

ওই একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলারও তারিখ রয়েছে বৃহস্পতিবার।

১২ অক্টোবর তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুই মামলায়ই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত