সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ জানুয়ারি, ২০১৮ ২১:৩৭

খালেদা-তারেক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরকার নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ উদ্বেগের কথা জানান। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার জন্য অন্যায়ভাবে যদি চেষ্টা করা হয়, তাহলে বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এটা মূর্খছাড়া আর কেউ ভাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। সেই অংশগ্রহণের পথে বাধা সৃষ্টির প্রচেষ্টা দেখছি। একেবারেই কোনো কারণ ছাড়া, কোনো প্রমাণ ছাড়া আমাদের নেত্রী, আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং আরো কিছু নিরীহ মানুষকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে রকম কিছু হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যে প্রয়োজন সেটি বিঘ্নিত হবে। আমরা আশা করি, সে রকম কিছু হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা জানি যে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তবে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু যাতে না হয় এ রকম ভাবনা, ইচ্ছে কমিশনের আছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিইসিকে আমরা বলেছি- আপনি যেটার জন্য কাজ করছেন, যেসব কথা আপনি বলছেন আগামী দিনে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চান, সেটার পথে কিন্তু প্রচণ্ড বাধা আসবে। এ বিষয়ে তিনি (সিইসি) একমত।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় না। আমরাও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমরা আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চাই না।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বন্ধ হোক এটা আমরা চাইনি। আমরা প্রার্থীও দিয়েছিলাম এবং আমরা বিজয়ে আশাবাদী ছিলাম।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের যে কথা আমরা শুনেছি তাতে নির্বাচন বন্ধ হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। তাহলে স্থগিত হলো কেন?

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সন্দেহ করে যে, সরকার এই নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে ভীত হয়ে নানা কৌশলে এই কাজটি করেছে। এই কৌশল থেকে বের হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তা নির্বাচন কমিশন করবে বলে আমরা আশা করি।

সিইসির সঙ্গে আকস্মিক এই বৈঠক প্রসঙ্গে জানেত চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের কপি জমা দিতে তারা কমিশনে গিয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত