নিউজ ডেস্ক

১৪ জানুয়ারি, ২০১৫ ২০:৫৬

সহিংসতা দিয়ে কোন ফল অর্জন করা যায় না- মেনন

বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সহিংসতা কোন প্রশ্নের সমাধান নয় এবং সহিংসতার দিয়ে কোন ফলাফল কেউ নিয়ে আসতে পারবে না।


বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সহিংসতা কোন প্রশ্নের সমাধান নয় এবং সহিংসতার দিয়ে কোন ফলাফল কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। রাজনীতিবিদদের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক চেতনার পথে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে আমরা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি। হরতাল অবরোধ আমাদের পিছিয়ে দেয়, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ। জীবনের নিরাপত্তা ব্যাহত হয়।


মন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বায়নে বিশ্বাস করি। বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আমাদের ছেলেমেয়ের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রয়োজন। শিক্ষকদের এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাইভেট-টিউশনের চিন্তা না করে ক্লাসেই পাঠদানে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যোগ না হলে ছেলেমেয়েরা এগুতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। এগিয়ে যাবে। মধ্যম আয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি এবং আমরা যেনো উন্নত দেশের প্রতিযোগিতায় এগুতে পারি সে জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
হরতাল অবরোধের মাধ্যমে সরকারের যে চূড়ান্ত পরিণতি দেখার অপেক্ষা করা হচ্ছে, সেই কাঙ্খিত পরিণতি কখনোই আসবে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

রাশেদ খান মেনন বলেন, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষার অভাব। আমরা আমাদের ছেলেমেয়ের শিক্ষিত করে তুলতে পারলে গণতন্ত্রমনা ও দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নাগরিক গঠন করা সম্ভব হবে। এতে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ দূর হবে এবং একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের পথ প্রসারিত হবে।


অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সভাপতি আবুল হোসেন, স্কুলের অধ্যক্ষ মুনসি শামসুদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চীফ ইঞ্জিনিয়ার সুদেন্দু বিকাশ গোস্বামী, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক সিকন্দর আলীসহ বিমানবন্দরের কর্মকর্তা ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। পরে মন্ত্রী ওসমানী বিমানবন্দর রানওয়েসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত