নিউজ ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:৪১

রিয়াজ রহমানের শরীরে গুলি পাওয়া যায়নি- প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর হামলায় কারা জড়িত, এখনো তার হদিস করতে পারেনি পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়েই মামলা করেছে বলে  জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিঞা।
ডিএমপি কমিশনার জানান- রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না হওয়ায় পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছে। হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে আছে, তা যাচাই-বাছাই চলছে বলেও জানান তিনি। হামলার স্থানের আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি।
রিয়াজ রহমান এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতালের পক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ ব্রিফিং এ জানানো হয়, তার শরীরে কোনো মেটালিক অবজেক্ট বা গুলি পাওয়া যায়নি। তবে একদিক দিয়ে গুলি ঢুকে আরেকদিক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চিহ্ন আছে।
 বিএনপি বলছে, তাদের কূটনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়ার চক্রান্ত হিসেবে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া এই হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন সরকারের মদদেই এই হামলা হয়েছে।
হামলার জায়গাটি হলুদ টেপ দিয়ে আলাদা করে রেখেছে সিআইডি। আলামত সংগ্রহে ব্যস্ত ফরেনসিক বিভাগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেছে গোয়েন্দারা। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা।
বিএনপি কয়েকজন নেতা ও কুটনীতিকরা রিয়াজ রহমানকে হাসপাতালে দেখতে যান। বিএনপির পক্ষে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী বলেন, সরকার চাইলেই হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে পারবে।
এদিকে রিয়াজ রহমানের ওপর সন্ত্রাসি হামলার প্রতিবাদে ১৫ জানুয়ারি দেশব্যাপি হরতাল ঘোষণা করেছে বিএনপিসহ বিশ দলীয় জোট। বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অবরোধের পাশাপাশি অতিরিক্ত কর্মসূচি হিসেবে দেশবাসীকে হরতাল পালনের আহ্বান জানান।
রিয়াজ রহমান গত ১৩ জানুয়ারি গুলশান কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন, তাঁর গাড়িও আগুনে পুড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসিরা।
উল্লেখ্য, রিয়াজ রহমান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং তিনি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন দিল্লিস্থ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পাকিস্তান পালিয়ে যান।
“পূর্বাপর ১৯৭১, পাকিস্থানি সেনা-গহ্বর থেকে দেখা” - মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান (অব) সূত্রে জানা যায় পঁচিশ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানিদের কর্তৃক বাংলাদেশে মাত্র দুই হাজার লোক নিহত হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত