নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৯:৫১

সংসদ থেকে বিদায় নিলেন লতিফ সিদ্দিকী

জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে হৃদয়গ্রাহী ভাষণ দিয়ে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বহিষ্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী।

হজ্ব নিয়ে মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ হারানো আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আকস্মিকভাবেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে ১৫ মিনিটের এক বক্তৃতা দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে নিজেই সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (১ সেপ্টেম্বর) মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন লতিফ। সামনের সারিতে নিজের আসনে বসেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার পর লতিফ সিদ্দিকী ঢোকার সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বক্তব্য রাখছিলেন।

প্রথমে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়ানোর জন্য স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সাড়া পাননি লতিফ সিদ্দিকী।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “মাননীয় সদস্য, আপনি একটু পরে কথা বলেন।”

এর কিছুক্ষণ পর স্পিকারের সায় নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত এই সদস্য। 

লতিফ সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যে দাবী করেন, হজ্ব নিয়ে আগের বক্তব্য তিনি ঠিক বলেছেন এবং তার বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। নিজেকে সাচ্চা মুসলমান দাবি করে লতিফ বলেন, তিনি নিজেও একবার হজ্ব করেছেন। তবে একাধিকবার হজ্বকারীদের সাথে তার মনোভাব মিলবেনা। আর হজ্ব যে একটা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তা অস্বীকার করলে মিথ্যা হয়ে যাবে না। 

সাবেক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ বলেন, জীবনে একাধিকবার বহিষ্কারের অভিজ্ঞতা তার আছে। তবে কখনো তা দুর্নীতির জন্য নয়। নৈতিক ও আদর্শিক ব্যাপারে তিনি আপোষ করেন না বলেও উল্লেখ্য করেন। 

লতিফ সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ি তিনি পদত্যাগ করছেন।  

এ সময় সংসদে সিনিয়র মন্ত্রীরা প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিনের সঙ্গে তার অফিসে গিয়ে দেখা করেন লতিফ সিদ্দিকী।

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত