১৪ মে, ২০২০ ০২:১৭
পুরনো ছবি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েছেন আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রের দায়িত্বভার বুঝে নেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এরপর মেয়রের চেয়ারে বসে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করেন। মেয়র আতিকুল ইসলাম করোনাভাইরাস ও এডিস মশা মোকাবিলায় শুরুতেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মিরপুর এলাকায় ডিএনসিসির উদ্যোগে একটি হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান।
এ সময় প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ূয়াসহ বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির মেয়র নির্বাচিত হন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শপথ নেন। এর আগে তিনি ডিএনসিসির মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। একই দিনে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী ১৬ মে বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের মেয়াদ শেষ হবে। ব্যারিস্টার তাপস ওই দিনই ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেওয়ার পর আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় করোনা মহামারিতে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাকালে ডিএনসিসির হটলাইনে ফোন করে যে কেউ ত্রাণ চাইতে পারেন। ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে একটি অ্যাপের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি জানান, মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেট এলাকায় করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে গণমাধ্যমকর্মী ও ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নমুনা জমা দিতে পারবেন। আরও আটটি স্থানে নমুনা সংগ্রহ করার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। ডিএনসিসির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় মারা গেলে তার জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবীমা চালুর কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
ভাড়াটিয়াদের আশ্বস্ত করে আতিকুল ইসলাম বলেন, এই সময়ে কোনো বাড়িওয়ালা যদি ভাড়া নিয়ে কাউকে হেনস্তা করেন, তাহলে ডিএনসিসিকে জানাবেন। ডিএনসিসি ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানান, ১০টি ওয়াটার বাউজারের মাধ্যমে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ চলমান আছে। এ ছাড়া উত্তর সিটিতে নাগরিকদের হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা চালু আছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে বিশেষ কার্যক্রম চলছে। এখন মোবাইল কোর্ট চলছে, ১৬ মে থেকে স্বল্প পরিসরে চিরুনি অভিযান শুরু হবে। কেউ ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে চাইলে ডিএনসিসির ২৭টি নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে তা করাতে পারবেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির উদ্যোগে কভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেট করোনা হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা চিকিৎসায় যুক্ত ডাক্তার, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স চালক, পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়িওয়ালারা হেনস্থা করলে সেই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কাঁচাবাজার স্থানান্তর, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, মশকনিধন কার্যক্রমসহ তার গৃহীত কার্যক্রম ও পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
আপনার মন্তব্য