নিউজ ডেস্ক

১৬ মার্চ, ২০১৬ ০৮:১৫

গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

একটি কুচক্রী মহল কর্তৃক  অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খয়ের গোলাপ।

একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গোলাপ বলেন, জনগনের ভোটে আমি গত ১৩ বছর যাবত নবীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে আছি। এবং ১১ নং গজনাইপুর আওয়ামীলীগের সভাপতি। জনগণ আমাকে প্রতিবার ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। আসছে নির্বাচন তাই প্রতিবারের মতই আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যে মামলা বা মিথ্যে অপবাদ দেয়া হয়। এর আগের নির্বাচনগুলোতেও তাই হয়েছে।

এই ইউনিয়েনের একটি পরাজিত গুষ্ঠি এই কাজ করে যাচ্ছে আমাকে নির্বাচনে পরাজিত করতে না পেরে। এইবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এর আগের নির্বাচনেও অনেক মিথ্যে মামলা দিয়েছিলো আমার নামে যা পরে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে মামলাগুলো দিয়ে কিছু করতে পারেনি। পরাজিত ওই গোষ্ঠি বরাবরের মত এবারও আমাকে মিথ্যে হয়রানী করছে।

এইদিকে আমি আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়ন প্রার্থী এবং আমি আশা করছি আমার দল আমাকে মনোয়ন দেবে এবং আসছে নির্বাচনে আমি আবারো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবো আর এই সত্য জেনে সমস্ত ইউনিয়নে আমার জনপ্রিয়তা দেখে সেই গুষ্ঠি হবিগঞ্জের একটি লোকাল খবরের কাগজে (লোকালয় বার্তা) আমার নামে মিথ্যে সংবাদ করেছে।

যার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমি এবং অবাক হচ্ছি যে একটি পত্রিকা কিভাবে বৃত্তিহীন এই সংবাদটি প্রচার করে। ওই সংবাদটিতে বলা হয় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমি নাকি সুকুরী বিবি নামে এক মহিলাকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেই! অথচ পুরো ইউনিয়নবাসী জানে এই মহিলা কোন বিরঙ্গনা নয়, কখনও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে আটক হয়নি।

আমার নিজের বয়েস ১৯৭১ সালে ছিলো ১৫ বছর। অথচ পরাজিত এই গুষ্ঠি আমাকে হেয় করার জন্য এইসব আজগুবি সংবাদ ছড়াচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি সরেজমিন কেউ এসে এই সংবাদের সত্যতা যাচাই করুন এবং এই মিথ্যে সংবাদটি কতটুকু সত্য সেটা বের করে সংবাদ করুন। সংবাদপত্রের কাজ হলো সত্য তোলে ধরা, মিথ্যেকে নয়। আমার সাথে হত দুই নির্বাচনে পরাজিত শাহনেওয়াজ এর ছেলে ধর্ষন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফয়েজ আমীন রাসেল তার ব্যক্তিগত ফেইসবুকে এই মিথ্যে সংবাদটির লিংক ছাড়াচ্ছে আমি সেটাও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত