সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ২৩:৪৫

কোম্পানীগঞ্জে ৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে হামলা মামলার অভিযোগ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ৬টি পরিবারকে ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হামলা মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি ভূমিদস্যু চক্রের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার টুকেরগাঁওয়ের মরহুম আবুল হোসেনের পুত্র খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খলিলুর রহমান উল্লেখ করেন, প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পতিত ভূমিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লোকজন বসতি স্থাপন করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এদের মধ্যেই উপজেলার টুকেরগাঁওয়ে স্থায়ীভাবে একত্রে বসবাসরত তারা ৬টি পরিবার। বংশানুক্রমে ত্রিশ বছরের অধিক সময় ধরে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। অতীতে তাদের ভোগদখলীয় এই ভূমিতে কেউ কোন আপত্তি করেনি।

তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, তার ছোটভাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন ও উপজেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন সম্প্রতি তাদের বাড়িঘর ও ভোগদখলীয় ভূমি জবরদখলে নিতে নানাবিধ অপতৎপরতা চালিয়ে আসছেন। এই চক্র থেকে ঘরবাড়ি রক্ষা করতে গতবছরের ২৪ ডিসেম্বর সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে তারা আবেদন করেন।

তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি সকালে ইয়াকুব আলী, ইকবাল ও মনির হোসেনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল আকস্মিকভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনটি পরিবারের ঘরদরজা ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বাড়ির লোকদের কুপিয়ে আহত করে। তারা বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও কয়েকলাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও সশস্ত্র ক্যাডারদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ে সাহায্যে করতে পারেননি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও হামলাকারী চক্রের কাউকে আটক করেনি। হামলায় নারী-পুরুষসহ ১০জন গুরুতর আহত হন। আহত আব্দুল আজিজ, জুলেখা বেগম, হালিমা বেগম ও রুবি আকতার এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, হামলার ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করলেও পুলিশ তাদের মামলা পেছনে ফেলে তাদের বিরুদ্ধে হামলাকারীদের দায়ের করা মামলা (নং-১৫(১)১৭) রেকর্ড করে। পরে ‘ক্রসমামলা’ হিসেবে তাদের দেয়া এজাহারটি গ্রহণ করা হয়। যার নম্বর ১৬(১)১৭। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও হামলার শিকার হয়ে উল্টো তাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে খলিল অভিযোগ করেন। হামলাকারীদের মামলার আসামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহতরাও রয়েছেন। তারা গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের মামলা আগে রেকর্ড করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। হামলায় আহতদের আসামি করে তাদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটছে। হামলা মামলা থেকে রেহাই ও ঘরবাড়ি রক্ষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি সহ সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত