১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৪:১৭
আসন্ন ঈদুল আজহা ও দূর্গাপূজায় প্রত্যেক হোটেল শ্রমিকদের মাসিক বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদান, বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের (রেজি: নং বি: ২০৩৭) ডাকে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিকরা সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফেডারেশনভূক্ত মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং চট্ট:-২৩০৫ এর উদ্যোগে এক শ্রমিক সমাবেশ সংগঠনের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
হোটেল শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর মো. জসিমউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ নেতা ও ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর মৌলভীবাজার জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি সাথে লিখিত চুক্তি করলেও গত ঈদুল ফিতরের সময় ২/১ টি হোটেল ব্যতিত কোন মালিকই শ্রমিকদের চুক্তি অনুযায়ী বেতনের সমপরিমাণ বোনাস প্রদান করেননি।
তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির এই সময়ে সরকারের গ্যাস-বিদ্যুৎ-সিএনজির মূল্যবৃদ্ধি শহরবাসী নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী জনগণের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হলেও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমন কি ২০০৯ সালের পর ৬ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও হোটেল সেক্টরে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়নি। হোটেল শ্রমিকরা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
এমতবস্থায় হোটেল সেক্টরে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সাথ সংগতিপূর্ণভাবে মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া দাবি আদায়ের বিকল্প কোন পথ নেই।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রিকশা শ্রমিক সংঘের সভাপতি সোহেল আহমেদ, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ প্রধান, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্তাজ আলী, কোষাধ্যক্ষ তারেশ বিশ্বাস সুমন, প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা কমিটির আহবায়ক মো. ছায়েদ মুন্সী প্রমূখ।
সমাবেশ থেকে আরও দাবি করা হয় হোটেল সেক্টরে শ্রম আইন কার্যকর, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, কথায় কথায় ছাঁটাই বন্ধ, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম শ্রম-পরিচালকের কার্যালয় স্থাপন করার।
আপনার মন্তব্য