গত ২৫ এপ্রিল নেপালে প্রাণঘাতি ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। সেদিনই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু’র দশোরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার এএফসি অনুর্ধ্ব-১৪ মেয়েদের ফাইনাল ম্যাচ। কিন্তু প্রলয়ংকারী ভূমিকম্পের কারনে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়নি। স্হগিত হওয়া ম্যাচটির নতুন তারিখ ধার্য করা হয় ২০ ডিসেম্বর।

ভূমিকম্প আঘাত হানায় ফাইনাল ম্যাচটি স্থগিত হলে বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী দল। তারপর কেটে গেছে প্রায় ৮ মাস। স্হগিত হওয়া এই ম্যাচটির পর ৮ মাস অতিবাহিত হওয়ায় প্লেয়াররা ছন্দে থাকবেন না সেটাই তো স্বাভাবিক।

এবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি খেলতে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় নেপালের  উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছে ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবল দল।

দেশ ছাড়ার আগে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দলের সার্বিক অবস্থা জানাতে বাংলাদেশ ‍ফুটবল ফেডারেশনে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। যেখান উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নারী ফুটবল উইংয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ, বাংলাদেশ ফুটবলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সেহাগ, অনূর্ধ্ব-১৪ নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন ও অধিনায়ক শ্রীমতী কৃষ্ণা রানী সরকার।

এএফসি অনুর্ধ্ব-১৪ নারী ফুটবলের ফাইনালে উঠার আগে গেল ২২ এপ্রিল গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভুটানকে ১৬-০ তে হারানোর পর ভারতর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সেফিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশের তরুণীরা। এর পর শেষ চারের ম্যাচে ইরানকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করে স্বপ্নের ফাইনাল।

কিন্ত ‍দলটির কোচ ছোটন আশ্বস্ত করলেন যে, ‘৮ মাস অতিবাহিত হলেও প্লেয়ারদের ছন্দের কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। কারণ তারা এতদিন খেলার মধ্যেই ছিলেন। নেপাল থেকে ফিরে আসার পর আমাদের খেলোয়াড়রা খেলার মধ্যেই ছিল। গেল কয়েক মাসে তাঁরা বঙ্গমাতা ফুটবল ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লিগের মত এক একটি টুর্নামেন্ট খেলেছে। এরপর গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে আমাদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। তাই মেয়েদের ছন্দ পতন হবে না বলেই আশা করছি।’
           
আগামী রোববার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় কাঠমান্ডুর দশোরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই শিরাপা নির্ধারণী ম্যাচটি।

বাংলাদেশের স্কোয়াড

তাসলিমা, মাহমুদা আক্তার, রুপা আক্তার, শামসুন্নাহার, রুমা আক্তার, শিউলি আজিম, মোসা: নারগিস খাতুন, নাজমা, জ্যোৎস্না, রাজিয়া খাতুন, সানজিদা আক্তার, মোসা: মিসরাত জাহান মৌসুমী, কৃষ্ণা রাণী সরকার, মারিয়া মান্ডা, তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা, মার্জিয়া ও মোসা: সিরাত জাহান স্বপ্না।