ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১১:৪৪

পাকিস্তান সুপার লীগের জন্য জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্ট নয়!

গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের  নেতৃত্বে  ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সভায় ঠিক হয়েছিল জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের সাথে ৩টি টি-টোয়েন্টির সাথে ১টি টেস্ট খেলা হবে। পূর্বের সূচি অনুযায়ী অবশ্য এই সিরিজে ৩টি টেস্ট খেলার কথা থাকলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ মাথায় নিয়ে টি-টোয়েন্টির সংখ্যা বাড়াতে এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়।

কিন্তু ২ দিন না পেরোতেই বদলে গেল সেই সিদ্ধান্তও। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান দুর্জয়ের সাথে তেমন বনিবনা নেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। এমন খবর আছে মিডিয়ায়। সেই খবরে তাল দিয়েই যেন তিনি হাঁটলেন ভিন্ন পথে। নাজমুল হাসান জানালেন, জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের সাথে কোন টেস্ট নয় খেলা হবে কেবল টি-টোয়েন্টি। যুক্তি হিসাবে যা দেখালেন তাতে যে কেউ অবাক হতেই পারেন।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিসিবি প্রধান বলেন, "জিম্বাবুয়ে আসবে ১৪ তারিখ, এরপর ৩টা টি-টোয়েন্টি খেলে টেস্ট খেলতে গেলে পাকিস্তান ক্রিকেট লিগ (পিসিএল) এর সময় এসে যাবে। সাকিব, তামিম, মুশফিক,মুস্তাফিজ ছাড়া টেস্ট খেলব কীভাবে?"

প্রশ্ন উঠল জাতীয় দলের খেলা গুরুত্বপূর্ণ নাকি বিদেশী লীগ? পৃথিবীর সবদেশেই জাতীয় দলের খেলা থাকলে বিদেশী লীগে খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র দেয়া হয় না ওই সময়। বিসিবি প্রধান কি বাংলাদেশের জাতীয় দলের কথা ভেবে সফরসূচি ঠিক করবেন নাকি পাকিস্তান সুপার লীগের শিডিউল দেখে বাংলাদেশের খেলা ঠিক করবেন? বিপিএল চলার সময় ইংল্যান্ডের সাথে সিরিজ খেলছিল পাকিস্তান। বিপিএলে সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানিরা সেই সিরিজ শেষ করেই বিপিএলে এসেছিলেন।

বিসিবি মনে করছে টি-টোয়েন্টির দুটি বড় টুর্নামেন্টের আগে কেবল টি-টোয়েন্টিই খেলতে হবে। এক্ষেত্রেও ভিন্ন মত ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান দুর্জয়ের। তিনি বলেন, "টেস্ট খেললে যেকোনো ধরনের ক্রিকেটেরই প্রস্তুতি হয়, কিন্তু অন্য কোন ফরম্যাটই টেস্টের উন্নতি করতে পারে না"

দুর্জয় বলেন, "আমরা সারাবছর খুব কম টেস্ট খেলার সুযোগ পাই তাই উন্নতি হয়না, এখন সুযোগ পেয়েও নিজেরা না খেললে অনেক পিছিয়ে পড়ব এই ফরম্যাটে"

তিনি বলেন, "বিশ্বের বড়দলগুলো  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা ভেবে টেস্ট খেলা বন্ধ রাখেনি, সবাই টেস্ট খেলছে, এবং তারা টি-টোয়েন্টিতেও ভাল করছে"।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত