নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ০০:২২

যৌন হয়রানীর অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেফতার ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক পিয়ার

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে বিমানের মধ্যেই এক কিশোরীকে উত্যক্ত করেছিলেন এই সাংবাদিক। সিডনি এয়ারপোর্টে নামার পরেই তাকে গ্রেপ্তার করে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খবর কাভার করতে যেয়ে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্রীড়া সাংবাদিক রহমান পিয়ারকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের পুলিশ । এখন তার ঠাই হয়েছে শ্রীঘরে। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে বিমানের মধ্যেই এক কিশোরীকে উত্যক্ত করেছিলেন এই সাংবাদিক। সিডনি এয়ারপোর্টে নামার পরেই তাকে গ্রেপ্তার করে অস্ট্রেলিয়া পুলিশ।
 ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সংবাদ কাভার করাই তার উদ্দেশ্য ছিলো। কিন্তু ওই ঘটনার পর টিভি চ্যানেলটির সরাসরি বিশ্বকাপের খবর প্রচারও অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

জানা যায় কোরিয়ান একটি মেয়ে অভিযোগ করে তার পার্শ্ববর্তী আসনের ওই যাত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় তার গায়ে হাত দেয়! আরেক সাংবাদিক বলেন বিমানে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। উচ্চৈঃস্বর বাদানুবাদ শুনে ঘুম থেকে তারা জেগে ওঠেন। অন্ধকার ফ্লাইটে এরবাইরে তারা কিছু দেখেননি। মালয়েশিয়া এয়ারইলাইন্সেরবিমানটিতে ওই ছাত্রীর শিক্ষকও ছিলেন। সিডনি কিং জর্জ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, সেই বিদেশিনী ছাত্রীর সেই শিক্ষক অভিযোগটি ফ্লাইট এটেনডেন্টদের জানালে আকাশে থাকা অবস্থাতেই অভিযোগটি সিডনি এয়ারপোর্ট অথরিটিকে জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ফ্লাইটটির জন্যে অপেক্ষায় থাকে। ফ্লাইটটি ল্যান্ডিং এর পর প্রায় দশ মিনিট কাউকে নামতে দেয়া হয়নি। ফ্লাইট এটেনডেন্টদের মাধ্যমে সেই সাংবাদিককে শনাক্তের পর পুলিশ তাকে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়।


দেশের বড় বড় মিডিয়ায় এই সাংবাদিকের পরিচয় গোপন করা হলেও বিভিন্ন মাধ্যমে ফেসবুকে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে । ন্যাকারজনক এই ঘটনায়  ফেসবুকসহ  বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশকে ছোট করার জন্যও এই সাংবাদিকের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই । মিডিয়াতেই এই সাংবাদিকের নাম প্রচার করা কেন হচ্ছেনা , সাংবাদিকের অপরাধ চেপে যাওয়া কোন ধরনের নীতি এমন প্রশ্ন করছেন সাধারণ মানুষ ।

এ বিষয়ে ব্লগার আরিফ জেবতিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন -

যখন ধর্ষিতার নাম-বাপের নাম, চৌদ্দগুষ্ঠির নাম আর ছবি ছাপিয়ে দাও-তখন খুব আরাম লাগে? যখন মেডিকেল পরীক্ষার জন্য লুকিয়ে যাওয়া লাঞ্ছিতা নারীর মুখে বুম ধরে জিজ্ঞেস করো, "আপনার বক্তব্য কী?" তখন বিকৃত সুখ জাগে?

উড়োজাহাজে যৌন হয়রানি করে গ্রেফতার হওয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক পিয়ার (নাকি পিয়ারু)র নাম-ঠিকানা-ছবি বলতে এখন লজ্জা পাচ্ছে আমাদের সাংবাদিক সমাজ!
যারা এই লজ্জা পাবে, তাঁরা প্রত্যেকেই আসলে সেই ধর্ষক সাংবাদিকেরই সহোদর, নেহায়েত উড়োজাহাজে উঠতে পারে নাই বলে ধরা পড়েনি, বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে এদের কাছ থেকে দয়াকরে সতর্ক থাকবেন আমাদের বোন-ভাগ্নি সমাজ।
প্লিজ!

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত