স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৫৮

বুন্দেসলিগায় জাভি আলোনসোর লেভারকুসেনের ইতিহাস

একটি ফুটবল দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কে? অনেকেই হয়তো বলবেন খেলোয়াড়দের কথা। এক দিক দিয়ে তারা ঠিক, কারণ ফুটবলার ছাড়া তো আর ফুটবল দল গড়ে উঠতে পারে না।

তবে ফুটবল দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার পেছনে ফুটবলারদের চেয়েও আরেকজনের ভূমিকা বেশি। বলা হচ্ছে ফুটবল কোচের কথা। একজন ভালো কোচ যে কিনা করতে পারেন, ফুটবল ইতিহাসে তার অজস্র উদাহরণ রয়েছে।

ভালো কোচ একটি সাধারণ দলকেও বানিয়ে তুলতে পারেন বিশ্বসেরা। এমন একটি কাজই করে দেখালেন বায়ার লেভারকুসেনের স্প্যানিশ কোচ জাভি আলোনসো।

সাধারণ একটি দল নিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করলেন তিনি। বায়ারের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম লিগ শিরোপা এনে দিলেন রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক এই খেলোয়াড়।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নিজেদের ঘরের মাঠ বে আরেনাতে ওয়ার্ডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে নতুন রাজা হিসেবে অভিষেক হলো জাভি আলোনসোর লেভারকুসেনের। এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচ না হারা সদ্য মুকুটধারী জার্মান চ্যাম্পিয়নদের অপরাজিত রান এ জয়ে ৪৩ ম্যাচে প্রসারিত করল। এর মধ্যে রয়েছে টানা ২৯ ম্যাচে অপরাজিত থাকা যা একটি নতুন বিশ্বরেকর্ড।

বড় এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথম শিরোপার স্বাদ নিল লেভারকুসেন। অথচ কাছে গিয়েও কয়েকবার শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় দলটির নাম হয়ে যায় নেভারকুসেন।

তবে এবার আর শিরোপা হাতছাড়া হচ্ছে না। ব্রেমেনকে ৫–০ গোলে হারানোয় লেভারকুসেনের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৯ ম্যাচে ৭৯। লিগ পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৬৩। দুই দলের ব্যবধান ১৬ পয়েন্ট হয়ে যাওয়ায় আর ম্যাচ মাত্র পাঁচটি বাকি থাকায় লেভারকুসেনের ট্রফি জয় নিশ্চিত হল।

আজকের ম্যাচ জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে এই কথা জেনে লেভারকুসেনের সমর্থকরা ট্রফি উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে আসেন। কারণ আর একটি মাত্র জয় হলেই নিজেদের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন যে পূর্ণ হবে।

এজন্য অবশ্য দর্শকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখেনি তারা। ম্যাচের ২৫ তম মিনিটেই পেনাল্টি থেকে দলকে লিড এনে দেন ভিক্টর বোনিফেস। এ গোলেই লিড নিয়ে বিরতিতে যায় তারা। বিরতির পর প্রথম হাফের আক্রমণের ধার বজায় রাখে লেভারকুসেন।

গ্রানিত জাকা ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করলেই জয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। তখন থেকেই উৎসবের আমেজ শতগুণ বেড়ে যায় স্টেডিয়ামে।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে নিজের প্রথম ও দলের তৃতীয় গোল করেন উইর্টজ। তখন মনে হচ্ছিল সমর্থকরা খেলা শেষের আগেই মাঠে ঢুকে পড়বে।

৮৩ মিনিটে ভার্টজ নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করার সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড় করে মাঠে নেমে পড়েন দর্শকেরা।

কয়েক মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু করা হয়। তবে ৮৯তম মিনিটে উইর্টজ দলের পঞ্চম গোল করার পর আর খেলাই শুরু করা যায়নি। চারপাশের গ্যালারি থেকে দর্শকের ঢল নামে মাঠের ভেতরে। খেলোয়াড়দের বেশির ভাগ মাঠ ছাড়তে পারলেও দর্শকের ভালোবাসায় আটকা পড়েন উইর্টজ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত