স্পোর্টস রিপোর্ট

০৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:১০

সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন সৌম্য

গত বিপিএল থেকেই রান খরায় ভুগছিলেন। এ বছর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়েন্টিতে রান পেলেও সিরিজের বাকী ম্যাচ ও এশিয়া কাপের আগের ম্যাচগুলোতে অনেকটা নিজের ছায়া হয়েছিলেন সৌম্য সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশর অন্যতম সেরা এই আবিস্কার যেনো হারিয়ে ফেলেছিলেন ছন্দ।

সেই সৌম্যই জ্বলে উঠলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টের ম্যাচে। সেরা ব্যাটসম্যান তো তিনিই যিনি সঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে পারেন। দলের প্রয়োজনে হেসে ওঠে যার ব্যাট।

বুধবার অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পান নি সৌম্য। মোহাম্মদ আমিরের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন সাজঘরে। তাতে কী! যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ নাকানি চুবানি খাইয়েছেন পাকিস্তানি বোলারদের। পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।

সৌম্যর ৪৮ রানের ইনিংসই ভিত রচনা করে দেয় বাংলাদেশের জয়ের। মাশরাফি আর মাহমুদুল্লা সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়েই নেচেছেন প্রলয় নাচন। আর পাকিস্তান বধ করে বাংলাদেশ টানা ২য় বারের মতো উঠে গেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে।

ব্যাটিংয়ে রান খরার কারণে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর থেকেই নেটে বাড়তি মনোযোগ দেন সৌম্য। কঠোর অনুশীলনে যে সুফর পাওয়া যায় বুধবার মাঠে তা প্রমাণ করলেন এই তরুণ টাইগার।

বুধবার নিজেদের অলিখিত ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই কথা বলেছে সৌম্যর ব্যাট। পাকিস্তানের বিশ্বসেরা বোলিং লাইনআপকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছেন এই টাইগার ব্যাটসম্যান।

এর আগে টি টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ১০টি ম্যাচ খেলে কোন অর্ধশতকের দেখা পাননি সৌম্য। তাইতো এই ম্যাচে হয়তো পন করেই নেমেছিলেন যে পাকিস্তানেই হবে সেই দল যাদের বিপক্ষে তিনি তুলে নিবেন নিজের প্রথম অর্ধশতকটি। কিন্তু ১৪তম ওভারে আমিরের বলটি সৌম্য’র সেই স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  

তবে ইরফান, আমির , সামি ও আফ্রিদির মত বোলারদের কোন রকম তোয়াক্কানা করে ৫ চার, ১ ছয়ে ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৪৮ বল খেলে ৪৮ রান করে জয়ের দিকে ধাবিত করেন বাংলাদেশকে। শেষ অবধি পাঁচ উইকেটের জয় এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ৬ মার্চ ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত