স্পোর্টস ডেস্ক

২২ এপ্রিল, ২০১৬ ১৩:৩৪

উপেক্ষার জবাব দিলেন লিখন

ফতুল্লায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে তখন ব্যাট করছে মাশরাফির কলাবাগান। তাসামুলকে  নিয়ে শুরু ধাক্কা কাটিয়ে দারুণ ব্যাট করছিলেন  জিম্বাবুয়াইন রিক্রুট হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তখনই মঞ্চে আবির্ভাব জুবায়েরের। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন - "সুযোগ পাবি, দেখিয়ে দিস"।

সেই সুযোগ পেয়ে ঠিকই দেখিয়ে দিলেন বাংলাদেশের এ যাবত কালের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন।

ছয় উইকেট তুলে নিয়ে মাশরাফির কলাবাগানকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন জাতীয় দলে ত বটেই বিপিএলেও উপেক্ষিত এ লেগ স্পিনার। আর তাই মাত্র ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় মাশরাফির দলের ইনিংস।

শুরুটা করেন কলাবাগানের বিদেশি রিক্রুট হেমিল্টন মাসাকাদজাকে। ২ উইকেটে ৭৮ রান করা কলাবাগান তখন বড় স্কোর করার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু কয়েক মুহূর্তেই সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে দেন জুবায়ের। মাসাকাদজাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপরের দুই ওভারে মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও শরিফুল্লাহকে বিদায় করেন তিনি। এক ওভার পর তানভীর হায়দারকে তামিমের ক্যাচে পরিণত করেন।

নিজের অষ্টম ওভারে এসে আব্দুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির উল্লাসে মাতেন জুবায়ের। দারুণ এক গুগলিতে উইকেটরক্ষক উদয় কাউলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। যদিও আউট হবার পর কিছুটা অসন্তোষ দেখিয়েছেন রাজ্জাক। পাঁচ উইকেট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকেননি তিনি। নিহাদুজ্জামানকে বোল্ড ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন এ নবীন তারকা।

জুবায়ের বাংলাদেশ জাতীয় দলে যতটা নিশ্চিত ততটা নিশ্চিত হতে পারেন না ক্লাবগুলোতে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তাকে নেয়নি কোন ক্লাব। এবারের প্রিমিয়ার লিগেও তার খেলা অনেকটাই অনিশ্চিত ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তাকে দলে নেয় আবাহনী। আর তার প্রতিদান শুরুতেই দু হাত ভরে দিয়েছেন এ স্পিনার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত