মল্ট বেভারেজ (কোমল পানীয়) অস্কারের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের চুক্তি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দেশনা সম্বলিত এক ই-মেইল বার্তায় তা সাব্বিরকে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিসিবি। একই সাথে সব টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপনটির প্রচার বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

সাব্বিরকে দেয়া ই-মেইলের কপি দেয়া হয়েছে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ম্যানেজার ও কমার্শিয়াল কমিটির চেয়ারম্যান সাব্বির খানকেও।

অস্কারের ওই বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, টিভি-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সাব্বিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় এক নারী পুলিশ অফিসারকে (নায়লা নাঈম) দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে খুঁজে বের করার। পুলিশ অফিসার নায়লা নাঈম সাব্বিরের বাড়িতেই তাকে খুঁজে পান।

বিসিবির অভিযোগ, বিজ্ঞাপনটি অমার্জিত ও কুরুচিপূর্ণ। এখানে কিছু 'আপত্তিকর' দৃশ্য রয়েছে, যা বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে মানানসই নয়। আর যেহেতু সাব্বির রহমান যেহেতু বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, তাই এখানে বিসিবির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

বিসিবির ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিসিবির সাথে চুক্তিবদ্ধ কোনো খেলোয়াড়কে কোনো বিজ্ঞাপন করার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে হবে এবং বিজ্ঞাপনে কোনো কুরুচিপূর্ণ, বর্ণবাদী, অবমাননাকর, হিংসাত্মক কিংবা অন্য কোনো আক্রমণাত্মক কিছু থাকতে পারবে না।

ধারণা করা হচ্ছে, 'বিতর্কিত' মডেল নায়লা নাঈমের সঙ্গে বিজ্ঞাপন করায় কারো কারো সমালোচনার প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।

এ বিষয়ে ওই বেভারেজ কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, "আমরা সব নিয়ম মেনেই সাব্বিরকে বিজ্ঞাপনের জন্য মনোনয়ন করেছিলাম। তাকে বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট, বিপরীতে কে থাকছে সব জানিয়েছিলাম। তখন সাব্বির বিসিবির অনুমতি নিয়েই সবকিছু করতে রাজি হন। কিন্তু এতোদিন চলার পর হঠাৎ করেই এটা বন্ধ করতে গতকাল (শনিবার) আমাদের একটি ই-মেইল দেয় বিসিবি। আমরা সাব্বিরের ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম, কিন্তু বিসিবি বলেছে এখনই বন্ধ করে দিতে। আমরা সেটা বন্ধ করে দিয়েছি।"

জানা গেছে, এ চুক্তি বাতিল করলে বেশ বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন সাব্বির। বিজ্ঞাপনটি করতে প্রায় ২৫ লাখ টাকা সম্মানী নিয়েছেন তিনি। আর বিজ্ঞাপন তৈরি, প্রচার ইত্যাদি কাজে অস্কারের খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যে সাব্বিরকে একটি ই-মেইল দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আনিসুর রহমান।