স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ মার্চ, ২০১৮ ১২:৫০

আজ মুখোমুখি ব্রাজিল-জার্মানি

বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও জার্মানি। চার বছর আগে নিজেদের দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। ২০০২ বিশ্বকাপে অবশ্য জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছিল সেলেসাওরা।

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে জার্মানির বার্লিনে মুখোমুখি হবে এই দুটি দল।

ব্রাজিল চাইলেও ৭ গোল হজমের দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারছে না। বেলো হরিজন্তের মিনেইরো স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচের আগে ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল-জার্মানি। এর ১২টিতেই জিতেছে ব্রাজিল, জার্মানির জয় ছিল ৪টি।

বার্লিনের আজকের প্রীতি ম্যাচের আগে ব্রাজিলকে ওই ম্যাচ মনে করিয়ে দিতে কোনো চেষ্টাই বাদ রাখেনি জার্মানরা। জার্মানির ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি) এই উদ্যোগ নিয়েছে অনেক আগে। নিজেদের ফেসবুক পাতায় একটি পোস্ট দিয়েছিল-ব্রাজিল ১ : ৭ জার্মানি, বার্লিন প্রীতি ম্যাচের বাকি আর মাত্র ১৭ দিন! ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের ওই দুঃস্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই কিনা কয়েক দিন আগে জার্মানির ফরোয়ার্ড টমাস মুলার বলেছিলেন, ‘ব্রাজিল এই ম্যাচকে প্রতিশোধের উপলক্ষ হিসেবেই নেবে।’

এদিকে, কয়েক দিন ধরে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে একটা শব্দ খুব দেখা যাচ্ছে—রেভাশে। পর্তুগিজ এই শব্দের বাংলা মানে প্রতিশোধ! ব্রাজিলের কোচ তিতেও এর বাইরে নন। জার্মানির মুখোমুখি হওয়ার আগে তাঁও যে মনে পড়ে যাচ্ছে সেই ‘মিনেইরোজো’, ‘বিশ্বকাপের সেই ৭-১ ভূতের মতো। মানুষ এখনো এটা নিয়ে কথা বলে। আবেগের দিক থেকে তাই বার্লিনের প্রীতি ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতটা এখনো টাটকা। বার্লিন ম্যাচ এই ক্ষত শুকানোর একটি উপলক্ষ। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। আমি ভালো ফল চাই।’

মিনেইরো স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচে ব্রাজিলের কোচ ছিলেন লুইস ফেলিপে স্কলারি। এরপর দুঙ্গার হাত ঘুরে ২০১৬ সালের জুনে ব্রাজিলের দায়িত্ব আসে তিতের কাঁধে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে দলটিকে নিজের মতো করে গড়ে তুলেছেন। তার অধীনে খেলা ১৮ ম্যাচের মাত্র একটিতেই হেরেছে ব্রাজিল। কিন্তু বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের দিনটি আজও ভোলেননি তিতে, ‘আমি স্ত্রীকে নিয়ে ম্যাচটি আমাদের সাও পাওলোর বাড়িতে বসে দেখছিলাম। তৃতীয় গোলটির পর আমার স্ত্রী কাঁদতে শুরু করেছিল। তবে কখনো কখনো ফুটবলে এটা হয়, কোনো একটি দল প্রায় নিখুঁত খেলে ফেলে। ওই দিন জার্মানি সেটাই করেছে।’

মিডিয়া ও বিভিন্ন মাধ্যমে ৭ গোলের স্মৃতি যতই মনে করিয়ে দেওয়া হোক না কেন জার্মানির মিডফিল্ডার টনি ক্রুস সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন স্কলারি আর তিতের ব্রাজিল এক নয়, ‘২০১৪ সালের সঙ্গে (ব্রাজিলের) বর্তমান দলটির তুলনা করলে ওরা এখন দ্বিগুণ ভালো। সবাই মিলে ভালো একটি দলে পরিণত হয়েছে। ব্রাজিল এই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিটও।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত