স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ জুন, ২০১৮ ১৫:২৭

আজ মাঠে নামছে ইংল্যান্ড, জাপান ও কলম্বিয়া

আটটি গ্রুপে ৩২টি দল নিয়ে রাশিয়ায় চলছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর। ১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের ২১তম আসরে এরই মধ্যে  ২৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৪ জুন) মাঠে গড়াবে আরও তিনটি ম্যাচ। এতে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-পানামা, জাপান-সেনেগাল ও পোল্যান্ড-কলম্বিয়া।

দিনের প্রথম খেলায় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে ইংল্যান্ড-পানামা। গ্রুপ ‘জি’ থেকে এক ম্যাচে এক জয় নিয়ে ইংল্যান্ড আছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় নম্বরে। তাদের প্রতিপক্ষ পানামা এক ম্যাচে এক হার নিয়ে আছে গ্রুপের তৃতীয় নম্বরে।

চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালোই হয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়াকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে। অন্যদিকে পানামার শুরুটা হয়েছে বেলজিয়ামের কাছে হেরে। তাই রোববার নিজনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড বনাম পানামার লড়াই দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে হারলে নিশ্চিত হয়ে যাবে গ্রুপপর্ব থেকেই পানামার বিদায়। আর ইংল্যান্ড জিতলে নিশ্চিত হবে তাদের শেষ ষোল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

২০০৬ ও ২০১৮। মাঝে পেরিয়ে গেছে বিশ্বকাপের আরো দুইটি আসর। তবে ইংল্যান্ডের জন্য এই দুই আসরে একটা মিল আছে। এবারের আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। গ্রুপ-জি তে তিউনিসিয়া নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়াতে ইংল্যান্ডের সামনে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে পানামার বিপক্ষে জিতেই শেষ ষোল নিশ্চিত করার।

অন্যদিকে পানামা এবারের বিশ্বকাপে এসেছে বাছাইপর্ব থেকে শক্তিশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিদায় করে দিয়ে। দলটি গোল করার চেয়ে গোল প্রতিহত করতে বেশি দক্ষ। শেষ সাত ম্যাচে মাত্র দুই গোল করেছে দলটি। ড্র হয়েছে দুইটি ম্যাচ, হেরেছে পাঁচটিতে। তবে প্রথমবার বিশ্বকাপে আসা এই দলটির শেষ ষোলতে খেলার আশা ধরে রাখতে জিততেই হবে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

রাত ৯টায় মুখোমুখি হবে এশিয়ান শক্তি জাপান ও আফ্রিকান শক্তি সেনেগাল । গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে এক ম্যাচে এক জয় নিয়ে জাপান আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। তাদের প্রতিপক্ষ সেনেগাল এক ম্যাচে এক জয় নিয়ে আছে তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে জাপান হারিয়েছে কলম্বিয়াকে। প্রায় পুরো ম্যাচই প্রতিপক্ষ ১০ জনের দল নিয়ে খেলেছে। ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে যায় জাপান। কলম্বিয়া ফিরে এলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ব্লু সামুরাইরা। গত বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়া দলটি এবার দেখছে শেষ ষোলতে ওঠার সম্ভাবনা। তাই রোববারের ম্যাচে সেনেগালকে তারা ছেড়ে কথা কইবে না।

অন্যদিকে সেনেগাল বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে আসে ২০০২ সালে। সেবার চমক দেখিয়ে উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। মাঝের ৩ আসরে দলটি বাছাইপর্ব পেরোতে পারেনি। তবে ১৬ বছর পর দলটি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। তাদের চমকে দেয়ার স্বভাবটি এখনও রয়েছে। প্রথম ম্যাচেই সেনেগাল ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে গ্রুপ ফেভারিট পোল্যান্ডকে। নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত শেষ ষোলর পথে দাঁড়িয়ে রয়েছে দলটি। আর তা সহজ করতে জাপানের বিপক্ষে তাদের জয় প্রয়োজন।

দিনের শেষ খেলায় রাত ১২টায় মাঠে নামবে পোল্যান্ড। তাদের প্রতিপক্ষ থাকবে কলম্বিয়া। গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে এক ম্যাচে এক হার নিয়ে তালিকার তৃতীয়তে আছে পোল্যান্ড। অপরদিকে সুইডেন এক ম্যাচে এক হার নিয়ে আছে তালিকায় সবার শেষে অবস্থান করছে কলম্বিয়া।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল জাপান। সেই ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এটি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম লাল কার্ড দেখার রেকর্ড। ১০ জনের দল নিয়ে ২-১ গোলে হেরে যায় কলম্বিয়া।

অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে পোল্যান্ডও। গ্রুপ-এইচের এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল সেনেগাল। আফ্রিকার এই দলটির বিপক্ষে পোলিশদেরও হার ২-১ গোলে।

তাই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই দলের জন্যই। হেরে যাওয়া দলের বিশ্বকাপ আশা শেষ হয়ে যাবে এখানেই। ম্যাচ ড্র হলে আশা থাকবে দুই দলেরই। সেক্ষেত্রে অন্য দুই দলের ম্যাচের ফলাফলের দিকেও চোখ রাখতে হবে। তবে পোল্যান্ড নিশ্চয় চাইবে ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের পর এবারই শেষ ষোলতে যেতে। আর কলম্বিয়াও চাইবে গত বিশ্বকাপের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। তাই উপভোগ্য একটি ম্যাচই উপহার পাওয়া যাবে এদিন।

ম্যাচ তিনটি যথাক্রমে নিঝনি নভগোরোদ স্টেডিইয়াম, একাতেরিনবুর্গ অ্যারেনা ও কাজান অ্যারেনা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত