সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

২৭ জুন, ২০২০ ২১:৩১

সুনামগঞ্জে ৭ মাসের শিশুর করোনা জয়

সাত মাস বয়সে করোনা জয় করল সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আবু হুরায়রা। শুক্রবার (২৬ জুন) নমুনা পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। একই সঙ্গে আবু হুরায়রার বাবাকেও ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

এর আগে বাবা ফজলে রাব্বী ও আবু হুরায়রা একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হন। একইদিনে বাবা-ছেলে করোনামুক্ত হয়েছেন। করোনামুক্ত হয়ে একসঙ্গে ঘরে ফিরেছেন বাবা-ছেলে।

ফজলে রাব্বী বলেন, প্রথমে আমার ভাই এহসান রাব্বী করোনায় আক্রান্ত হয়। পরে পরিবারের সব সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষার জন্য দেই। পরবর্তীতে আমি, আমার সন্তান ও শ্যালিকার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকি। আমাদের কারও কোনো উপসর্গ ছিল না। তবে আবু হুরায়রাকে নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম আমরা। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা একসঙ্গে করোনামুক্ত হলাম। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ অনেকেই আমাদের সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছেন। তাদের প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞ।

বিজ্ঞাপন

ফজলে রাব্বী আরও বলেন, আমার বাবা সবজি বিক্রেতা। তার করোনা নেগেটিভ এসেছিল। এর মধ্যে একদিন সবজির দোকান খুলে বসেন বাবা। এ সময় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাবার দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে বাবার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। এতে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ রুমী বলেন, প্রথমে আবু হুরায়রার চাচা করোনায় আক্রান্ত হন। পরে পরিবারের সবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে আবু হুরায়রা, তার বাবা ও খালার করোনা ধরা পড়ে। মায়ের কোলে চড়ে হাসপাতালে এসেছিল শিশু আবু হুরায়রা। ১৩ জুন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়। শিশুটির ফলোআপ নমুনা আমি সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে আবু হুরায়রা ও তার বাবার করোনা ফলাফল নেগেটিভ আসে। আবু হুরায়রা করোনামুক্ত হওয়ায় আমরা সবাই খুশি। তার জন্য ভালোবাসা রইল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত