কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

০১ জুলাই, ২০২০ ১৯:১১

কমলগঞ্জে ছড়ার মুখ বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল ভায়া ছনগাও সড়কের তেতইগাও নামক এলাকায় একটি ছড়ার মুখ বন্ধ করে ধানি জমিতে মাটি ভরাট করায় ৫টি গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে গ্রামের বাড়ি ঘরে পানি জমে থাকে। চরম  দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন  বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন। বুধবার সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়।

গ্রামবাসীরা জানান, তেতইগাও, ছনগাঁও, ভানুবিলসহ ৫টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয় আদমপুর ভায়া ভানুবিল পাকা সড়কে নির্মিত এই কালর্ভাট দিয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে পানি নিষ্কাশন হলেও সম্প্রতি তেতইগাঁও গ্রামের জনৈক বিদ্যামনি সিংহ কালভার্ট এর উত্তর দিকের ধানী জমিতে বসতঘর নির্মাণ করা উদ্যোগে নেন। মালিক নিজ জমিতে মাটি ভরাট করার পাশাপাশি গ্রামের ছড়ার মুখ বালি ফেলে বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে ছড়ার একটি বন্ধ করায় অল্প বৃষ্টিতে পানি ৫ গ্রাম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি যেতে না পারায় রাস্তার উপরে পানি উঠে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। পানিতে নিমজ্জিত থাকে নিচু এলাকা।

তেতইগাঁও গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, একটি সরকারী রাস্তার কালভার্টের নিচে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। গ্রামবাসী কালভাটের্র নিচে ছড়ার একটি মুখ ভরাট করার বিষয়টি আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা না করায় মালিক বিদ্যামনি সিংহ দ্রুত ঘর তৈরি উদ্যোগ নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, নিজের জমিও ভরাট করলে প্রথমে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের সরকারি অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু জমির মালিক প্রভাবশালী হওয়ায়  সরকারে আদেশ অমান্য করে বসতঘর নির্মাণ করছেন।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যামনি সিংহ বলেন, উল্লেখিত ধানি জমিতে তার এক বোনের জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করতেই মাটি ভরাট করা হয়েছে।  যদি মাটি ভরাটে সমস্যা হয় তা তিনি সমাধানের চেষ্টা করবেন।

আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, তিনি অনেক দিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ছিলেন। গত ২৪ জুন দেশে ফিরেছেন। অভিযোগটি করা হলে তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে থাকতে পারে। তারপরও তিনি তা খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নিবেন ।

কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) নাসরিন চৌধুরী বলেন, কৃষি জমি হোক আর অন্য জমি হোক তার শ্রেণি পরিবর্তনে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করতে হয়। এখানে সরকারি অনুমতি না নিয়ে কোনভাবে মাটি ভরাট করা ঠিক হয়নি।  সরেজমিন তদন্তক্রমে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত