০৮ জুলাই, ২০২০ ২০:১৮
সিলেটের বিশ্বনাথে হারপিক পান করার দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমা শিকদার সীমলা (৪০) নামের এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বাহাড়া-দুভাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী। তিনি দীর্ঘ ১৯বছর ধরে দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারীর পাশাপাশি সহকারি শিক্ষিকার দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার (৮ জুলাই) ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাবার বাড়ি উপজেলার আটপাড়া গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে গত সোমবার হারপিক পান করার পর তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। দুইদিন পর বুধবার ভোররাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বিদ্যালয় গভর্নিংবডির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে আসমার মৃত্যু নিয়ে তার স্বামী ও গভর্নিং বডির সভাপতির পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। আসমার স্বামী ফজলু মিয়ার অভিযোগ, বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নতুন সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাসিম উদ্দিন ও কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ওই বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসাব দিতে চাপ সৃষ্টি করায় অপমানে হারপিক খেয়ে আসমা হারপিক খেয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে গভর্নিং বডির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ বলেছেন,পারিবারিক বিরোধের জেরে আসমা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ তার দেবর দৌলতপুর ইউনিয়নের মেম্বার শাহীন আহমদ বছরখানেক আগে আসমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে তিনি স্কুলের উল্টো পাশে একটি বাসায় ভাড়ায় উঠেন।
আর শাহীন আহমদ মেম্বার বলেছেন, তার ভাই কিংবা ভাবির সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই, এমনিক বাড়ি থেকেও বের করে দেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ রয়েছে। এরই জেরে সম্প্রতি সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদকে বাদ দিয়ে আব্দুর রউফকে সভাপতি করে গত ৬জুন ১০সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন কমিটির সদস্য একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য