তাহিরপুর প্রতিনিধি

১১ আগস্ট, ২০২০ ২১:২৩

তাহিরপুরে অটোরিকশা ভাড়া বৃদ্ধি, জনমনে ক্ষোভ

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সাথে জেলা সদরের দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। এই সড়কে দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করে আসছে জনপ্রতি একশত টাকা। সুরমা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের পর সড়ক পথের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় মোটর সাইকেলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করে। এতে করে জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুফল পায়।

এই সড়কে শুরুতেই সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ১শত টাকা নির্ধারণ করে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। এই ভাড়া সিএনজি অটোরিকশা চালকরাই নির্ধারণ করে। তবে সম্প্রতি এই ৩৫ কিলোমিটার সড়কে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে সম্প্রতি উপজেলায় তিন দফা বন্যায় বিভিন্ন সড়কে ক্ষতি হয়েছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে চিসকা থেকে আনোয়ারপুর ও জেলা সদরের লালপুর থেকে আব্দুর জহুর সেতু সামনে পর্যন্ত সড়ক ভেঙে গেছে। এই অজুহাতে হঠাৎ ভাড়া বাড়ানোতে জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এনিয়ে প্রতিদিনই যাত্রী ও চালকদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে।

তাহিরপুর থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন আমিরুল মিয়া নামে এক যাত্রী। তিনি জানান, এ সড়কে সিএনজি অটোরিকশাতে প্রতিজনে ভাড়া নেওয়া হতো ১০০টাকা করে। এখন সামান্য ভাঙা অংশের সূত্র ধরে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের সিএনজি অটোরিকশা চালকরা জন প্রতি ২০টাকা বাড়িয়ে ১২০টাকা ভাড়া আদায় করছেন। ভাড়া নিজেদের মত করে বাড়িয়ে আদায় করায় যাত্রী ও সর্বস্থরের জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আরেক যাত্রী সমীর সরকার বলেন, ৩৫ কিলোমিটার সড়কের ভাড়াই আবার কিভাবে ১২০টাকা নির্ধারণ করা হল তা বুজতে পারি না। তাহলে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের দূরত্ব ৭০কিলোমিটার সেখানেও ভাড়া ১০০টাকা কিভাবে হয়। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সিএনজি অটোরিকশা চালকগন জানান, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে ভাঙা থাকার কারণে আমরা ভাড়া জনপ্রতি ২০টাকা বেশী নিচ্ছি। ভাঙা থাকলেই যে জনপ্রতি ২০টাকা বাড়িয়ে নিবেন এই সিদ্ধান্ত কার জানতে চাইলে তারা জানান নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ জানান, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত