সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৮:১০

প্রতারণার চুক্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চা শ্রমিক ফেডারেশন

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন, সিলেট জেলা শাখা চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে সম্পাদিত প্রতারণার চুক্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সংগঠক বীরেন সিং।

বক্তব্য দেন চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমরেড উজ্জ্বল রায়, বাসদ( মার্কসবাদী) নেতা অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, চা-শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠক অজিত রায়, নমিতা রায় প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ ২২ মাস পর চা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে মাত্র ১৮ টাকা বৃদ্ধি করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাসিক হিসেবে পরিমাণ হবে মাত্র ৩৬০০ টাকা যা বর্তমান বাজারে শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার মত। মালিকের কাছে শ্রমিকের জীবনের কোন মূল্যই নেই। গত ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ চা সংসদ উভয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ চুক্তি সম্পাদন করেছে। যা চা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণার সামিল। চা শ্রমিক ফেডারেশন দীর্ঘ দিন যাবত দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা ও ৫ কেজি ভালো মানের চাল রেশনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে, যা ন্যায়সঙ্গত দাবি। ইউনিয়ন নিজেরাও ৩০০ টাকা মজুরির দাবি করেছে অথচ এখন তারা ১২০ টাকা মজুরিতে চুক্তি সম্পাদন করেছে। এতে বুঝা যায় বাইরে এ দাবি করলেও বাস্তবে তারা মালিকের স্বার্থই রক্ষা করেছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনা সংক্রমণের সময়েও চা বাগান মালিকরা বন্ধ রাখেনি। কিন্তু চুক্তি করার সময়ে করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন চা বাগানের প্রাকৃতিক পরিবেশে করোনা সংক্রমণ হবে না। এই দীর্ঘ ২২ মাস পর চুক্তি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল অস্থায়ী চা শ্রমিকরা কারণ তাদের কোন বকেয়া পরিশোধ করা হবে না। অথচ একই রকম শ্রম তারাও করেছে। নেতৃবৃন্দ সমাবেশ থেকে এই প্রতারণার চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন চুক্তির দাবি জানান।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত