নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ অক্টোবর, ২০২০ ২১:৪১

সিলেটে ২৫ বছর পর ভূমির মালিকানা ফিরে পেলেন তারা

সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়া অন্যের দখলে থাকা প্রায় দেড়কোটি টাকার ভূমি আদালতের নির্দেশে ফিরে পেয়েছে একটি পরিবার। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় প্রশাসন প্রকৃত ভূমি মালিকদের কাছে জায়গা সমজিয়ে দিয়েছেন।

ভূমির তপশীল হচ্ছে সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার জে এল নং ৯১ নং অন্তর্গত কাজী ইলিয়াস প্রকাশিত দাড়িয়াপাড়ার ডিপি ১৪৩/১৫৫১, এস এ খতিয়ান নং ১৭১৩, দাগ নং ৫১৫৫ ও ৫১৫৬। এর আগে গত ৪ অক্টোবর উচ্চ আদালত প্রকৃত ভূমি মালিকদের জায়গা বুঝিয়ে দিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দেন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার জায়গা সমজিয়ে দেয়া হল।

সিলেট সদর সিনিয়র সহকারি জজ অতিরিক্ত আদালতের স্বত্ব জারী মোকদ্দমায় (০৫/২০১৪) আদালতের রায় ও ডিক্রি মোতাবেক শাহ আলম বাদশা, তাসনিম সুলতানা, ফয়জুর রহমান ও তাদের অংশীদারদের মধ্যে তপশীল বর্ণিত ভূমি বুঝিয়ে দেন আদালত।

ভূমির দখল ফিরে পাওয়া অংশীদারদের মধ্যে অন্যরা হচ্ছেন সিলেট সদরের কসারপাড়া এলাকার আব্দুর রউফের স্ত্রী মোছা. আম্বিয়া খাতুন, বনকলাপাড়া নূরানী আবাসিক এলাকার মৃত মফিকুর রহমানের ছেলে ফয়জুর রহমান, শামছুর রহমান, কুতুবুর রহমান, মাহবুব বীন শরিফ, মাহমুদ বীন শরিশ ও মেয়ে আফসানা বেগম মিলি ও রোকসানা বেগম এবং পাঠানটুলা এলাকার সুড়াবই এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আব্দুল আহাদ ওরফে হেলনের স্ত্রী মোছা. আফিয়া খাতুন।

বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালতের নাজির, আইনজীবী ও এলাকার মুরব্বীদের উপস্থিতিতে অবৈধ দখলদারকে সরিয়ে দিয়ে লাল পতাকা টানিয়ে প্রকৃত মালিকদের সীমানা চিহ্নিত করে দেয়া হয়। এসময় প্রকৃত ভূমি মালিকদের সাইনবোর্ডও টানানো হয়। দীর্ঘদিন পর নিজেদের সম্পত্তি ফিরে আদালত ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শাহ আলম বাদশা ও পক্ষের লোকজন।

আদালতের রায়ে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে মামলা-সংক্রান্ত জটিলতা পর তারা এই ভূমি ফিরে পেলেন। আদালতের নির্দেশে সিলেট জেলা আদালতের নাজির মো. নাজিম উদ্দিন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শাহ আলম বাদশা ও তার সহযোগীদের কাছে সাড়ে ৮ শতক জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এসময় তাদের আইনীজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর সবুর ও স্থানীয় কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট, স্থানীয় মুরব্বিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এই মোকদ্দমায় বাদীরা ছিলেন শাহ আকবর ওরফে রতন ও শাহ আছলম ওরফে পটন এবং তার সহযোগীরা।
শাহ আলম বাদশা বলেন, দীর্ঘ মামলা মোকদ্দমার পর আমরা আমাদের অপদখলে থাকা সম্পত্তি ফিরে পেয়েছি। দীর্ঘদিন মামলা মোকদ্দমার কারণে আমাদের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবুও আমরা আদালতের ন্যায় বিচারে সন্তোষ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আইনীজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর সবুর বলেন, আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার সুপ্রতিষ্টিত হয়েছে। এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত