নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০২০ ২২:৩২

সিলেটে উদীচী’র ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

‘দূর কর দুঃশাসন দুরাচার, জনতা জেগেছে যে দুর্বার’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে।

নগরীর ক্বিনব্রিজ এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়।

এ উপলক্ষে আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন উদীচী সিলেটের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক। সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদীচী সিলেটের সাবেক সভাপতি ও প্রগতি লেখক সংঘ সিলেটের সভাপতি এ কে শেরাম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন চৌধুরী সুমন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এসময় গান পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন সিলেট, উদীচী সিলেট, ব্যান্ডদল পেপার বোর্ড পাইরেটস্। একক সংগীত পরিবেশন করেন গণসংগীত শিল্পী অংশুমান দত্ত অঞ্জন, রতন দেব, মিজানুর রহমান, প্রদুৎ দাস ও আহমদ চৌধুরী মার্জান।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেন ও রণেশ দাসগুপ্তের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে, বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকারে সোচ্চার থেকে লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিল উদীচী। মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন উদীচীর শিল্পীরা নেমেছিলেন তেমনি মানুষের মানসিক প্রেরণা ও যুদ্ধের শক্তি-সাহস যোগাতে কাজ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সম্মানজনক ‘একুশে পদক’ অর্জন করেছে উদীচী। কাঙ্খিত স্বপ্ন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আগামীতে আরও সুদৃঢ়ভাবে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবেই পারে সমাজ থেকে সকল অন্ধকার ও কালিমা মুছে দিতে। মানুষের মানবিক ও সাংস্কৃতিক চেতনাকে সজাগ করতে হবে। তার আচার আচরণ ও শিল্পবোধই একজন প্রকৃত মানুষ গঠনে সহায়তা করে। সেই ক্ষেত্রে এই চলমান ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকলসহ সকল ক্ষেত্রে এই সহিংসতা ও দুর্নীতি রুখে দিতে মানুষের জাগরণ খুই জরুরী। তাই এবারের স্লোগান ‘দূর কর দুঃশাসন দুরাচার, জনতা জেগেছে যে দুর্বার’। মানুষের এ জাগরণকে প্রাধান্য দিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত