দিরাই প্রতিনিধি

১৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৯:০৯

‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বাঁচান’- ফেসবুক লাইভে ছাত্রলীগ নেতার আকুতি

'আমাকে হত্যার পরিকল্পনা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাকে বাঁচান।'- ফেসবুক লাইভে এসে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এভাবেই আকুতি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আহমেদ জানে আলম।

ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, আমি আহমেদ জানে আলম দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের একজন কর্মী। সম্প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ের শ্রদ্ধা জানায় দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের কিছু নেতা। এই ঘটনায় আমি প্রতিবাদ জানালে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে যারা হত্যার পরিকল্পনা করছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হউক।

লাইভে তিনি বলেন, 'আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, জাতির জনককে ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধুকে অপমান করলে আমাদের কষ্ট হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাকে বাঁচান। আমাকে নিরাপত্তা দেন। আমাকে যারা হত্যার পরিকল্পনা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হউক। আমাকে মোবাইলে ফোন করে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি বাসা থেকে বের হতে পারছি না। আমি বের হলেই তারা আমাকে হত্যা করবে।'
 
আহমেদ জানে আলম জানান, গত বুধবার যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিরাই উপজেলা পরিষদ প্রাঙনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আসাদ উল্লাহ, শাহ জাহান সরদার, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কাশেম মিয়া, যুবলীগ নেতা কামনা শিষ রায়, সুয়েব চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল মিয়া। তবে ফুল দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জুতা নিয়ে উঠে যান কয়েকজন। এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। যুবলীগের নেতাকর্মীদের এমন কর্মকান্ডের সমালোচনা করেন দলীয় অনেক নেতাকর্মী।

ছাত্রলীগ নেতা আহমেদ জানে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, যুবলীগ নামধারী কিছু লোক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জুতা নিয়ে উঠেছিল। আমি এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতা সুহেল আমাকে মেসেঞ্জারে কল করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া তিনটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে থানায় জিডি করেছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহেল মিয়া সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, আহমেদ জানে আলম ছাত্রলীগের কেউ নন। দলে তার কোনো পদ নেই। তার বাবা বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

সোহেল মিয়া বলেন, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি রবিউলকে আত্মগোপনে জানে আলম সহযোগিতা করেন। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলাম। এরপর থেকে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

হুমকির অভিযোগ মিথ্যে দাবি করে সোহেল বলেন, আমি চাই এ অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত হোক। মোবাইল ফোনে হুমকি দিলে নিশ্চয়ই কল রেকর্ড বের করা যাবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটাি খুঁজে বের করুক। এতে আমি দোষী হলে আমাকেও শাস্তি দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমরাফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত