সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহেল আহমদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় এসে নৌকার জন্য ভোট চাইলেন কেন্দ্রীয় যুব লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় পৌর শহরে গণসংযোগ শেষে নৌকার প্রধান কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে অনেক সম্পদশালী প্রার্থীকেও নৌকা দেননি। তিনি সৎ ও যোগ্য হিসেবে মো. রুহেল আহমদকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন।

এ নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বেঈমানি করেছে। তারা এত দিন আওয়ামী লীগের দলকে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু যখনি দল তাদের মনোনয়ন দেয়নি তারা দলের সাথে বিদ্রোহ করেছে। হারজিত উপরে ফয়সালা হয়, কিন্তু নৌকার প্রার্থী রুহেল ছাত্র রাজনীতি থেকে এই পর্যায়ে উঠে এসেছেন। শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হলে, দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে  বিজয়ী করতে হবে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও  উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম, সিলেট মহানগর যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক আহমদ জায়গিরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুর রহমান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু, বক্তব্য রাখেন নৌকার প্রার্থী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহেল আহমদ।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহেদ আহমদ চৌধুরী,  যুক্তরাজ্য আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম বাচ্চু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ও বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইয়িদ আহমদ সুহেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিধান দে,  ফরিদ উদ্দিন ইরান, আব্দুল মুকিত, জয়নাল আবেদীন  পুতুল, সাইকুজ্জামান চৌধুরী শিমু, আবু সুফিয়ান আজম।

এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  হেলাল আহমদ, মখলিছ আলী, মারুফ আহমদ, আব্দুল লতিফ, ফখরু মিয়া, অলিউর রহমান,  নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রশেদ্র পাল, রাধিকা রঞ্জন নাথ, কালা মিয়া,  আসমান আলী, আমিনুর রশীদ মারুফ,  আসমান আলী, রেহান উদ্দিন, শওকত আলী, শাহিদ আলী,  মইয়ব আলী,  ইউসুফ আলী ভুঁইয়া, মইজ উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন,  মাহতাব উদ্দিন৷ আফছার উদ্দিন, সাফওয়ান আহমদ, পারভেজ উদ্দিন, তাজির আহমদ, মসনু মিয়া, মাহমুদ আলী মরির, মামুন আহমদ, মাহমুদ হোসেন, তাজির উদ্দিন, ইসমাইল আলী প্রমুখ। 

এ সময় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ  এবং বিভিন্ন এলাকার মুরব্বিয়ান বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।