নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ মার্চ, ২০২১ ২২:৩৫

চুনাপাথর বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি মিথ্যা : লাফার্জ

গত ৩ মার্চ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রদান করেছে বহুজাতিক সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। 'সিমেন্ট তৈরির জন্য আনা চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রি করছে লাফার্জ' এই শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির বহিঃযোগাযোগ (এক্সটার্নাল কিমউেনকশন) ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বক্তব্য ৮ মার্চ ই-মেইলে প্রেরণ করা হয়।

এতে বলা হয়- বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রয়োজনীয় সকল সংস্থার অনুমতি নিয়েই ক্লিয়ার সাইজ অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা পরিচালনা করছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। স্থানীয় ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদ লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ-এর অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসাকে অবৈধ বলে যে তথ্য ছড়াচ্ছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

অতি সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে রাজস্ব ফাঁকির যে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদ করেছেন তারও কোন ভিত্তি নেই। বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী সকল ধরনের রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে আসছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। এ ধরনের উদ্দেশ্য প্রনোদিত তথ্য প্রচারের তীব্র বিরোধিতা করছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ।

ই-মেইলে প্রেরিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ কোটি টনের মতো অ্যাগ্রিগেটসের চাহিদা রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১.৫ কোটি টন ক্লিয়ার সাইজ অ্যাগ্রিগেটস। এই ১.৫ কোটি টনের শতভাগ চাহিদা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ যে ধরনের ক্লিয়ার সাইজ অ্যাগ্রিটেস উৎপাদন করছে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যে ধরনের অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত উভয় পণ্যের গুণগত মান ও ক্রেতা আলাদা। স্থানীয়ভাবে ক্লিয়ার সাইজ অ্যাগ্রিগেটস উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব হবে।

লাফার্জ সুরমার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আইন মান্যকারী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে লাফার্জ হোলসিম মনে করে, ব্যবসা করার অধিকার সকলেরই রয়েছে এবং সকল পক্ষকেই এই অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।

প্রসঙ্গত, চুনাপাথর আমদানি ও ব্যবসার সাথে জড়িত ৩০টি ব্যবসায়ী সংগঠন গত ২ মার্চ সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে। ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন থেকে লাফার্জ-হোলসিমের চুনাপাথর বিক্রিকে অবৈধ ও বেআইনী বলে দাবি করা হয়। ৮ মার্চের মধ্যে লাফাজ-হোলসিম চুনাপাথর বিক্রি বন্ধ না করলে ৯ মার্চ থেকে আন্দোলনেরও ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও আমদানিকারক আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী অভিযোগ করেন, লাফার্জ হোলসিম রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চুনাপাথর ব্যবসার খোলাবাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে চুনাপাথর ব্যবসায়ী-শ্রমিকরা ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।

সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. আবুল হাসানের দাবি, লাফার্জ কোনো ট্রেডিং কোম্পানি নয়। এটি একটি উৎপাদনশীল কারখানা। সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য এই কারখানার অনুমোদন ও জায়গা বরাদ্ধ নেওয়া হয়েছে। এখন তারা ট্রেডিং শুরু করতে পারে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত