নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ নভেম্বর, ২০১৫ ২৩:২২

‘বুড়ো বয়সে বদনামের ভাগীদার হলাম’

মুক্তি পেলেন সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া তিনজন। চার মাস কারাভােগের পর আদালতের রায়ে সোমবার কারাকাগার থেকে মুক্তি পান তাঁরা। এসময় কারাফটকে মুক্তিপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন তাঁরাও।

রবিবার চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায়ে ১৩ আসামীর মধ্যে ৩ জনকে খালাস প্রদান করা হয়। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান খালাসপ্রাপ্ত আসমত উল্লাহ, ফিরোজ মিয়া ও রুহুল আমিন।

মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকে ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমি নির্দোষ। রাজন হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলাম না। শুধু ঘটনাটি দেখে ফেলার কারণে বিনাদোষে চার মাস জেল খাটতে হলো। বুড়ো বয়সে বদনামের ভাগীদার হলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে এ মামলায় জড়ানো হলেও আমি নিজেও মনে প্রাণে চেয়েছি- দোষীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আল্লাহ যেন ন্যায়বিচার করেন।’

আসমত আলী বলেন, ‘আমরা আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। ন্যায়বিচার পাবো, আল্লাহ তায়ালার উপর এই ভরসা ছিল। জেলের ভিতর নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করেছি।

জানা যায়, রাজন হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন আজমত উল্যাহ ও ফিরোজ আলী। তাঁরা রাজন হত্যার বিষয়টি থানায় গিয়ে পুলিশকে বর্ণনা করেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বক্তব্য আমলে না নিয়ে উল্টো তাদের ওই মামলায় আসামি করে।

পুলিশের বিরুদ্ধে এই হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করা হয়েছে।

এ সময় অপর খালাসপ্রাপ্ত রুহুল আমিন কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাননি।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজন হত্যার রায়ের আদেশ কারাগারে পৌঁছায় বলে জানান সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. ছগির মিয়া।

তিনি বলেন, রায়ের আদেশের কপি পৌঁছার পরে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে খালাসপ্রাপ্ত তিনজনকে সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার আলোচিত শিশু রাজন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় কামরুলসহ চারজনকে ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন, তিন জনকে সাত বছর ও দুই জনকে ১ বছর কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হয়। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত