১১ নভেম্বর, ২০১৫ ১৮:৩৭
হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ এলাকায় বাসায় ডেকে নিয়ে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনামকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছেন হবিগঞ্জ পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক শাহীন। তাদের উভয় বাসা পাশাপাশি এবং সম্পর্কে তারা বন্ধু।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত দেড়টার সময় এনামুল হক শাহীন তার স্ত্রী রুবী বেগমকে দিয়ে অ্যাডভোকেট এনামকে বাসায় আসতে বলে। এনাম এত রাতে আসতে না চাইলে জরুরী কাজ আছে বলে আবারও অনুরোধ করলে এনাম তার বাসায় যান। এসময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শাহিন দা দিয়ে এনামকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে এনামের ছোট ভাই শহীদুল হক ও প্রতিবেশী আওয়ালকেও আহত করে হামলাকারী।
আহত আইনজীবী এনামুল হক এনামকে প্রথমে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আশংকাজনক অবস্থায় পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সকালে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আহত আউয়াল ও শহীদুল হককে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামলাকারী এনামুল হক শাহীনের স্ত্রী রুবী বেগম, শাহীনের বড় ভাই আব্দুল হান্নানের স্ত্রী শ্যামলা বেগম ও ছোট বোন আকিকুন নেছাকে আটক করেছে পুলিশ। শাহীনকে ধরতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আইনজীবী এনামুল হক এনাম ও শহীদুল হক হামলাকারী এনামুল হক শাহিনের ইনাতাবাদের বাসায় ভাড়া থাকেন। এনাম ও শাহীনের মাঝে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। কবে শাহীন প্রায়ই মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে। এক বছর পূর্বে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ‘বন্ধু মাইরা লাইব’ বলে চিৎকার করত। তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তির উদ্যোগ নিলে এতে সে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সে দাড়ি রেখে ভাবুকের মত চলাফেরা করত। সম্প্রতি সে ক্লিন সেভ করে পুর্বের ন্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, হামলাকারীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। তবে কি কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবদ করে তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে।
এদিকে, হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট এনামুল হকের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে সমিতির উদ্যোগে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সভায় এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
আপনার মন্তব্য