জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

১২ জুন, ২০২১ ১৪:৫৭

জগন্নাথপুরে মাদ্রাসাছাত্রী হত্যা: চাচা কারাগারে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চাচা রবিউল ইসলামকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার র‍্যাব-৯ তাকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করালে আদালতের মাধ্যমে রবিউলকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট শহর থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৯। এর আগে গত ৯ জুন সকালে মাদ্রাসাছাত্রী সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র‍্যাব-৯ সুনামগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাদ্রাসাছাত্রী সানজিদাকে (১৬) শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন তার চাচা রবিউল ইসলাম (৪০)।

রবিউলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও গ্রামের সয়ফুল ইসলামরা চার ভাই। এর মধ্যে দ্বিতীয় ভাই লুৎফুর রহমান যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় বড় ভাই সয়ফুল ইসলামের মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা বেগমকে নিজের মেয়ের মতো স্নেহমমতা করে তাদের সংসারের ভরণপোষণের টাকা তার কাছে পাঠাতেন।

বিষয়টি সহ্য করতে পারতেন না ছোট ভাই রবিউল ইসলাম। কিছুদিন আগে এসব বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও তিন মাসের মেয়ে সন্তানকে নিয়ে রবিউল শ্বশুরবাড়ি চলে যান। গত মঙ্গলবার তিনি একা বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ভাতিজি সানজিদার শয়নকক্ষের পাশে ঘুমান। রাত চারটার দিকে সানজিদার কক্ষে ঢুকে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুখে একটি বালিশ রেখে পালিয়ে যান।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানান, ভাইয়ের মেয়ে সানজিদাকে হত্যা না করলে তার নিজের মেয়ে লন্ডনপ্রবাসী ভাইয়ের স্নেহমমতা থেকে বঞ্চিত হবে, এই চিন্তা থেকে তাকে হত্যা করেন তিনি।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল আরও জানান, লন্ডনপ্রবাসী ভাই লুৎফুর রহমান তার ভাইয়ের মেয়ে সানজিদাকে খুব স্নেহমমতা করতেন। তাকে হত্যা না করলে তার নিজের মেয়ে লন্ডনপ্রবাসী ভাইয়ের স্নেহমমতা থেকে বঞ্চিত হবে, এই চিন্তা থেকে তাকে হত্যা করেন তিনি।

যদিও লাশ উদ্ধারের পর ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করেছিল পুলিশ ও পরিবার।
জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার রাজিব রহমান বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রী হত্যার প্রধান আসামি চাচাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত