কমলগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ জুলাই, ২০২১ ১৯:০১

ঈদের ছুটিতে কমলগঞ্জের পর্যটন এলাকায় ভিড়

করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসন কঠোর তৎপরতা চালাচ্ছে। এ অবস্থায়ও পবিত্র ঈদুল আহযাকে ঘিরে ছুটি কাটাতে অসংখ্য নারী পুরুষ শিশুদের আগমনে জমে উঠেছে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটের আশেপাশের এলাকা। বেশিরভাগ পর্যটকই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।  

লকডাউন না থাকলেও সরকারিভাবে পবিত্র ঈদুল আযহার দিন বিকেলে বিনোদনের আশায় ও ছুটি কাটাতে বিছিন্নভাবে পর্যটকে মুখরিত ছিল কমলগঞ্জের পর্যটন স্পটের আশেপাশের এলাকা। বিশেষ করে চা বাগান, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের মূল সড়ক, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিসহ আশেপাশেসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে কেউ পরিবার নিয়ে আবার ব্যক্তিগত গাড়ীতে করে ঘুরতে আসেন। আবার তরুন ও উঠতি বয়সের ছেলেরা মোটর সাইকেলে চড়ে আবার গাড়ী ভাড়া করে এসব এলাকায় ঘুরতে আসেন। তাদের মাঝে অনেকেরই ছিলোনা কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষন।

অনেকে মাস্ক ছাড়াও নিজেদের মতো করে দল বেধে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেকে করোনার মতো মহামারীর মাঝে তাদের আনন্দ উচ্ছ্বাস ভাগ করতে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন এলাকায় বিধি নিষেধ থাকলেও সেটি তোয়াক্কা না করে করোনার মতো মহামারীর মাঝে তাদের আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিলো বাধভাঙা।

মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, মাধবপুর লেকে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও পর্যটকরা কোন নিষেধাজ্ঞা মানেননি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে জোর করে লেকে পর্যটকদের প্রবেশ করার বিষয়টি তিনি গেটম্যানদের কাছ থেকে জেনেছেন।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, করোনাকালীন সময়ে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ কোনভাবেই মানা যাবেনা। দল বেধে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঘুরে বেড়ানোর কোন সুযোগ নেই। শুক্রবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে, সুতরাং এখন আর কমলগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘোরাঘোরির কোন সুযোগ নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত