কুলাউড়া প্রতিনিধি

২৭ জুলাই, ২০২১ ১৯:৩৯

ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেই ডাক্তার দেখানোর অজুহাত!

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পড়লেই ডাক্তার দেখানো ও ওষুধ কেনার অজুহাত দেখান, লকডাউনের বিধি নিষেধ না মেনে ঘর থেকে বাহির হওয়া মানুষ।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরের দিকে পৌর শহরের স্টেশন চৌমুহনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে এরকম চিত্র দেখা যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী দেড় ঘণ্টাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আদালত পরিচালনাকালে সাথে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল ও কুলাউড়া থানার পুলিশের একটি দল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অযথা ঘোরাফেরার কারণ জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন পথচারী, মোটরসাইকেল এবং সিএনজি অটোরিকশা চালক ডাক্তারের কাছে রোগী নিয়ে গেছেন, ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনতে হবে এমন উত্তর দেন। মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে চাইলেও অনেকেই দেখাতে পারেননি। এতে করে অভিযানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, লকডাউনের বিধি নিষেধ অমান্য করে চলাফেরা করায় ৯টি মামলায় দুই হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তিনি জানান, লোকজন অহেতুক বের হয়ে চলাফেরা করেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে অনেকেই ওষুধ কেনার ও ডাক্তারের কাছে যাওয়ার অজুহাত দেখান। আমরা যাচাই বাছাই করে জরিমানা আদায় করি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত