শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

২৭ জুলাই, ২০২১ ২০:২২

শ্রীমঙ্গলে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়েই অলিগলি দিয়ে শহরে প্রবেশ করছে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। মাস্ক পরার প্রবনতাও খুবই কম। আর এসব ঘটনার বিপরীতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। মানুষের মধ্যে অসেচতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারনে মঙ্গলবার এই উপজেলায় একদিনেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ এ দাঁড়িয়েছে।

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, শ্রীমঙ্গলে বুধবার একদিনেই ৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।  এছাড়াও গত ১০ দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ জন। এই উপজেলায় গত ২৬ জুলাই ৩ জন, ২৫ জুলাই ৩ জন, ২৪ জুলাই ৩ জন, ২৩ জুলাই ১২জন, ২১ জুলাই ৭ জন, ২০ জুলাই ১ জন, ১৯ জুলাই ৯ জন, ১৮ জুলাই ১৩ জন করোনা পজেটিভ হন। শ্রীমঙ্গলে এই পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৪৭৭জন। এর মধ্যে এই মুহুত্বে ৩২ জন আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শ্রীমঙ্গল শহর ঘুরে লকডাউনের এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে, শহরে যখনই প্রশাসনের লোকজন আসেন, তখন প্রায় সব দোকানপাটই বন্ধ থাকে। প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবার দোকান খোলা হয়। শহরের দোকানগুলোর বেশীরভাগ দোকানের একটি সার্টাও খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মাস্ক পরিধান করে ঘর থেকে প্রয়োজনে বের হওয়ার কথা থাকলেও বেশীরভাগ লোকই মুখে মাস্ক ছাড়া বের হন। শহরের বিভিন্ন সড়কে চলছে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা। লোকজন কঠোর লকডাউন অমান্য করেই বের হচ্ছেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়া স্বেচ্ছাসেবক টিম সুরক্ষা এলার্ট এর সদস্য শিমুল তরফদার বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেকেই সেম্পুল জমা দিচ্ছেন না। ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি ইত্যাদি করোনার সিমটম রয়েছে। অনেকেই করোনা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যারা সচেতন পরিবার ও করোনায় পুরো কাবু হচ্ছেন তারাই শুধুমাত্র সেম্পুল জমা দিচ্ছেন বলে আমরা মনে করি। সেহুতু আমাদের ধরে নিতে হবে আমাদের সবার সামনেই করোনা রোগীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখনও যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে আর কবে হবো?

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষের নানা অযুহাত, বেশিরভাগ লোকই আমাদেরকে রোগী পরিচয় দেয়, প্রেসক্রিপশন পকেট থেকে বের করে, ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনার কথা বলে, তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনার অযুহাত তো থাকছেই। সরকার কর্তৃক যে নীতিমালা দেওয়া হয়েছে আমরা সেই নীতিমালা কার্যকরে আমরা মাঠে কাজ করছি। বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া ও দোকানপাট খোলার কারনে আমরা জড়িমানা করেছি। আমরা সবাইকে বলবো সবাই সচেতন হোন। আমাদের দেশে করোনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ভাইরাসকে ঠেকাতে আমাদের সকলের ভূমিকা লাগবে। সরকারের দেয় বিধি নিশেধ না মানলে এই ভাইরাস দূর হবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত