সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় এক কন্যা শিশুকে (৬) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে।

এঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে ধর্মপাশা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রহম আলী (৫৫)।

তার বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াবন্দ বাগার বাড়ি গ্রামে।

শিশুটির পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, রহম আলীর বাড়িতে ওই শিশুটি প্রায়ই টিভি দেখতে যেতো। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটি ওই বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। এ সময় রহম আলীর স্ত্রী ও সন্তানেরা বাড়িতে ছিল না। সেই সুযোগে শিশুটিকে একা পেয়ে যৌন নিপীড়ন করেন এবং ধর্ষণ চেষ্টা চালায় রহম। শিশুটি যাতে চিৎকার না দিতে পারে সেজন্য রহম আলী শিশুটির মুখ চেপে ধরেন। শিশুটি কোনো রকমে সেখান থেকে ছুটে বাড়িতে আসে। পরে শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে যৌন নিপীড়নের চিহ্ন দেখে তার মায়ের সন্দেহ হয়। তখন শিশুটি তার শরীরে ব্যথা অনুভব হচ্ছে জানিয়ে সমস্ত বিষয় খুলে বলে। খবর পেয়ে শিশুর বাবা শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে রহম আলীর ভাই রাসটো মিয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর ও অভিযুক্তের (রহম আলী) পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়াসহ সামাজিকভাবে তা শেষ করার চেষ্টা করে। এমনকি শিশুটির পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় যেতেও বাধা দেওয়া হয়। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রহম আলীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’