সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:১৩

ইভ্যালির রাসেল হাসপাতালে

হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পরে মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশের উপপরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ঢাকা মেডিক্যাল সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টা ২৮ মিনিটে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করে।

রাত ১১টা ৫ মিনিটে তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালের উদ্দেশে ঢামেক থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা জমা দিয়েও তা না পাওয়ার মামলা করেন এই গ্রাহক।

এ মামলায় দুজনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাদের নেয়া হয় র‍্যাবের হেডকোয়ার্টারে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওহিদুল ইসলাম জানান, মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে রাসেল ও শামীমার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক তিন দিনের রিমান্ড আবেদন গ্রহণ করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালনসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহক ও মার্চেন্ট এবং অন্যান্য সেবা সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা ৫৪৩ কোটি টাকা।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার র‌্যাবের হাতে আটকের পর শুক্রবার সংস্থাটির কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রাহকের সার্বিক পাওনার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।

ইভ্যালির বর্তমান আর্থিক প্রতিবেদন চিত্র পর্যালোচনার পর দেখা যায়, এ দেনা পরিশোধের সক্ষমতা বা পাওনা পরিশোধে সমপরিমাণ নগদ অর্থ কিংবা সম্পত্তি কোনোটাই নেই ইভ্যালির হাতে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ইভ্যালির বর্তমান পরিচালন থেকে অর্জিত মুনাফা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বিপুল পরিমাণ পাওনা পরিশোধ সম্ভব হবে বলে তারা মনে করেন না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত