জাহিদ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:০২

গোলাপগঞ্জে মনকাড়া কাশবনে দর্শনার্থীদের ভিড়

সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের চৌঘরী এলাকার ওয়াসিমা কমিটি সেন্টারের সামনে বালুর উপরে দিগন্তজুড়ে ফুটে আছে সারি সারি শুভ্র কাঁশফুল।

শরতের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখানে ভিড় করছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার আশপাশ এলাকার অসংখ্য মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষের কাছে এ কাঁশবন যেন একরাশ আনন্দ আর সাময়িক মুক্তির বারতা।

সরেজমিনে এই কাশবনটিতে গিয়ে দেখা যায়, এখানে তাকালেই দেখা যাবে নীল আকাশের নিচে বাতাসে দোল খায় সাদা কাশফুল। সেই কাঁশবন যেন হয়ে উঠেছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। তাই তো অনেকেই ছুটছেন সেখানে বিনোদন পেতে। গোলাপগঞ্জের নতুন এই বিনোদন স্পট  দর্শনার্থীরা কাঁশফুলের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হচ্ছেন। দর্শনার্থীদের বেশর ভাগই তরুণরা আসছেন। কাঁশবনটি উপজেলার মানুষের কাছে তেমন পরিচিত নয় তবে ধীরে ধীরে এই মনকাড়া কাঁশবনটির খবর সকলের কাছে পৌছে যাচ্ছে।

কাঁশবনে ঘুরতে আসা হুমায়ুন কবির রুবেল নামের এক যুবক জানান, এই কাঁশবনটির কথা আমি জানতাম না। বন্ধুদের কাছ থেকে এর সৌন্দর্য্যের কথা শুনে আজ দেখতে এসেছি। কাঁশবনটি দেখে মন জুড়িয়ে গেছে।

মুন্না আহমদ নামের আরেক তরুণ জানান, করোনার কারণে এতদিন ঘরবন্দী ছিলাম। কাঁশবনটির কথা শুনে বন্ধুদের সাথে আজ এখানে চলে আসলাম। এসে খুবই ভালো লেগেছে।

জনি আহমদ জানান, সাদা আর সবুজের মিলনমেলা কাঁশবনটি ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিই অন্যরকম। সাদা মেঘের সঙ্গে এ কাশফুলের সাদা রং মনকেও সাদা করে দেয়। শরৎ কাশবনকে অপরূপ সাজে সাজিয়েছে।

দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, হঠাৎ করে এ স্থানটিতে অনেক কাঁশফুল ফুটেছে। কাঁশফুলের সৌন্দর্য্য দেখতে দূর দুরান্ত থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত