কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:২৩

কমলগঞ্জে চা শ্রমিকের ঘর ভাঙার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের চা শ্রমিক শ্রীজনম ভরের নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন বাগানের সাধারণ চা শ্রমিকরা।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকল ১১টায় শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে।

মানববন্ধনে শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের শতশত নারী ও পুরুষ চা শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।

এতে বক্তব্য দেন শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েক, সাধারণ সম্পাদক বিমল দাশ পাইনকা, জাগরণ যুব ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাস প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা ঘর ভাঙার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা ঘর ভাঙ্গার সুষ্ঠু সমাধান করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রীজনম ভরের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য বাগান কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান।

জানা যায়, শ্রীজনম ভর পঞ্চায়েত কমিটির মাধ্যমে বাগানের ব্যবস্থাপকের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব অর্থে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছিলেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার নির্মাণাধীন পাকা ঘর ভেঙ্গে দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ। এ সময় ভেঙে ফেলা ঘরের টিন, কাঠসহ মালামাল বাগান কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়।

শ্রীজরম ভর বলেন, ‘চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সহযোগিতায় বাগানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত সরকারের কাছে মৌখিকভাবে আবেদন করি। তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে ধার দেনা করে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করে ছোট এই পাকা ঘরটি নির্মাণ করছিলাম। শনিবার সকালে সকল শ্রমিক কাজে যোগ দিলে সকাল ১০টায় শ্রীপুর গ্রামের ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এসে ব্যবস্থাপক প্রশান্ত সরকার আমার নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে ফেলেন।’

বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিলন নায়েক বলেন, ‘ব্যবস্থাপকের মৌখিক অনুমতি নিয়ে শ্রীজনম ঘর নির্মাণ করেছিলেন। চা বাগানের মালিক মহসীন মিয়ার নির্দেশে ব্যবস্থাপক বাহিরের লোকজন এনে এই ঘরটি ভেঙ্গে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবস্থাপক মৌখিক নির্দেশ না দিলে ধার দেনা করে ঘর নির্মাণ করতেন না দরিদ্র চা শ্রমিক শ্রীজনম।’

শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত সরকার বলেন, ‘শ্রীজনম ভরকে ঘর নির্মাণের কোনো মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ঘরে গিয়ে আগাম বলা হয়েছে ঘর ভাঙ্গার বিষয়টি। তাছাড়া সে এখানে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করছিল। বসতঘর হলে কিছু মানবিক বিষয় থাকে। চা বাগানে দোকান ঘর নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত