নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৩৭

সিলেটে ছাত্রলীগের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা। টাকার বিনিময়ে কমিটির শীর্ষ পদ বিক্রির হয়েছে বলে মিছিল থেকে অভিযোগ তোলা হয়। এছাড়াও মিছিল থেকে বিক্ষোভকারীরা জেলা ছাত্রলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের নাম ধরে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেন।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় তেলিহাওর থেকে কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন একদল নেতাকর্মী। মিছিলটি নগরীর জিন্দাবাজার আল-হামরা মার্কেটের সামনে আসলে পুলিশী বাধার মুখে পড়ে। তবে পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনে অগ্রসর হয়। চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে বিক্ষোভকারী নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। কিছু সময় সড়ক অবরোধ শেষে ফিরে যান তারা।

এর আগে বেলা ১২টায় সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামসহ কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে টিলাগড় গ্রুপের নাজমুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তেলিহাওর গ্রুপের রাহেল সিরাজের নাম ঘোষণা করা হয়। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দর্শনদেউড়ি গ্রুপের কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাশ্মীর গ্রুপের নাঈম আহমদের নাম ঘোষণা হয়।

এছাড়া কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৬ জনের নাম। তারা হলেন- জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, বিপ্লব কান্তি দাস, মুহিবুর রহমান মুহিব, কনক পাল অরূপ, হোসাইন মোহাম্মদ সাগর ও সঞ্জয় পাশী জয়। এদের মধ্যে জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান ও মুহিবুর রহমান মুহিব ইতোমধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

জানা যায়, কমিটিতে তেলিহাওর গ্রুপের রাহেল সিরাজকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়ায় গ্রুপের অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তেলিহাওর গ্রুপের বড় অংশের নেতাকর্মীরা রাহেল সিরাজের পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চেয়েছিলেন জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খানকে। কিন্তু জাওয়াদকে সাধারণ সম্পাদক না করে কেন্দ্রীয় সদস্য করায় গ্রুপটির নেতাকর্মীরা তেলিহাওর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ প্রত্যাখ্যান করা জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান বলেন, ছাত্রলীগের যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে এর মধ্যে পদ পেয়েছেন অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি, ব্যবসায়ী, ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নন এমন মানুষও পদ পেয়েছেন। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে সিলেটে রাজনীতি থেকে এখন অপ রাজনীতি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাই আমার মতো কর্মীদের মূল্যায়ন থাকে না। সঠিক মূল্যায়ন না পেলে প্রত্যাখ্যান করার ছাড়া বিকল্প কোন উপায় থাকে না। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারি আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু আমি জেলার রাজনীতির সাথে জড়িত। কেন্দ্রীয় রাজনীতির কিছুতে আমার অংশগ্রহণ নেই। তাই আমি সে কমিটির সদস্য পদ প্রত্যাখ্যান করি। পদ প্রত্যাখ্যান করলেও সুষ্ঠু রাজনীতি যেহেতু করবো সহযোদ্ধাদের সাথে দেখা হবে রাজপথে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত