২৫ মে, ২০২২ ২০:৫৬
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সহযোগিতায় সিলেট শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গত ২০ মে থেকে ২২ মে' পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী একটি কর্মশালা সম্পন্ন হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাট্য নির্দেশক ড. সুদীপ চক্রবর্তী। সিলেট বিভাগের চারটি জেলার প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ সেই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।
এই অনুষ্ঠানে মুরাদ খানের মঞ্চে আসীন ও বক্তব্য প্রদান নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা'য় বাংলাদেশকে নিয়ে প্র্রকাশিাত একটি বিতর্কিত প্রতিবেদনে মুরাদ খান কণ্ঠ দেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। একারণে তাকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি আয়োজনে মঞ্চে তোলা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এই সমালোচনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন থেকে বুধবার একটি বিবৃতি প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়-
সম্ভবত ফেসবুকে সেই কর্মশালার ছবি দেখে সমাপনী অনুষ্ঠানে অনেক দর্শকের সাথে মুরাদ খান নামে এক ব্যক্তিও সেখানে আসেন। যার সাথে আমাদের ফেডারেশানের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট জেলা কালচারাল অফিসারের কোনো প্রকার পূর্ব পরিচয় ছিল না।
সমাপনী অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনা সেশনে সে কিছু বলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে ও আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমরা তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে আরণ্যক ঢাকার প্রাক্তন কর্মী এবং প্রাচ্যনাটের "কইন্যা" নাটকের নাট্যকার, সিলেট দর্পন থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়। সে আরও জানায় লন্ডনে "পূর্বনাট" নামে একটি থিয়েটার গ্রুপ পরিচালনা করে। এসব পরিচয় পেয়ে তাকে দর্শক হিসাবেই মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। উপস্থাপকের চেয়ারটি খালি ছিল বিধায় সে বক্তব্য রাখার পর খালি চেয়ারে বসে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সিলেট জেলা জেলা শিল্পকলা একাডেমি কিংবা গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর কোন প্রশ্নই আসেনা।
সে কোন মুরাদ খান তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত কেউ তখন তার সম্পর্কে কিচ্ছু বলেনি। যার সম্পর্কে অভিযোগ তিনি যে সেই মুরাদ খান তা নিয়েও উপস্থিত আয়োজকবৃন্দ কেউ অবগত ছিলেন না।
পরবর্তীতে ফেইসবুকে কেউ পোস্ট দিলে তা আমাদের নজরে আসে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক। তিনি যদি সেই ব্যক্তি হন তবে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাই।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমন্ডলির সদস্য অনিরুদ্ধ কুমার ধর, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জালালউদ্দিন রুমী, কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য তনু দীপ দাশ ও কর্মশালার সমন্বয়কারী ধ্রুবজ্যোতি সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অনিচ্ছাকৃত উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং যতো দ্রুত সম্ভব তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য