তাহিরপুর প্রতিনিধি

২৬ জুন, ২০২২ ২০:২৩

বন্যার পানি কমতেই ছড়াচ্ছে পচা দুর্গন্ধ

গত কয়েক দিন ধরে প্রখর রোদ উঠায় ও বৃষ্টিপাত না থাকায় সুনামগঞ্জের প্রতিটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অনেক এলাকায় ময়লা আবর্জনাগুলো অপসারন না করায় সর্বত্রই বন্যার পানি কমতেই পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়াও হাওরাঞ্চলের বাজার ও বসত বাড়িতেও একেই অবস্থা বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা থেকে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে৷ তবে এখনো অনেক এলাকার রাস্তাঘাট ও বসত বাড়িতে পানি রয়েছে। যেসব এলাকায় ময়লা আবর্জনা আটকা পড়ে থাকায় পানিতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে বানভাসিদের বাড়ছে দুর্ভোগ,অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।

সরেজমিন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন বিভিন্ন এলাকা, হাট বাজার,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,হাসপাতাল এবং হাওরাঞ্চলে গ্রাম ও বাজার গুলোতে বন্যার পানি কমতেই পচা দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নেয়া মানুষ ও গৃহপালিত পশুর ফেলা ময়লা আবজনা ও ভেসেঁ আসা ময়লা আবজনায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের বাজারে ও বাজারের চারপাশের সড়কে ময়লা আবজনায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এছাড়াও হাওর পাড়ের বসত বাড়িতে একেই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানান উপজেলা সদর ইউনিয়ন বাজারের বাসিন্দা শ্যামল বর্মন।।

উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পন্ডুব গ্রামের বাসিন্দা জয় মিয়া, আনোয়ার হোসেন বলেন,আমার ঘর থেকে পানি কমলে কী হবে? আমাদের দুর্ভোগ একটুও কমেনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া যায় না পচা গন্ধের কারণে।

টাংগুয়ার হাওর পাড়ের কৃষক আমিন উদ্দিন বলেন,ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে অসংখ্য বাড়িঘরে পানি এখনও রয়েছে। সেই সাথে ক্রমেই বেড়ে চলছে দুর্ভোগ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে গেছে।

এখন পর্যন্ত বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি জানিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মির্জা রিয়াদ হাসান। তিনি বলেন,এর পরও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাবার স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ মজুত আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত