রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

২৬ জুন, ২০২২ ২০:২৯

জগন্নাথপুরে ত্রাণের পিছে ছুটছে মানুষ

ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে শহরের প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের শহরের একাংশে পানি কমে যাওয়ায় সীমিত আকারে যান চলাচল করছে। এসব যানের মধ্যে ত্রাণের গাড়ি দেখলেই বানভাসি লোকজন ছুটছেন পেছনে। গত কয়েক দিন ধরে সরকারি বেসরকারিভাবে গাড়িতে করে ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে উপজেলা সদরের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।

শুক্রবার (২৪ জুন)দুপুর ১২টার দিকে একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পিকআপ ভ্যানে করে ত্রাণ শহরের দিকে যাওয়ার সময় শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী দুর্গত লোকজনের ওই গাড়ির পেছনে দৌড়াতে দেখা যায়।

ত্রাণের পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন নেত্রকোনা জেলার জ্যোৎসা বেগম। এসময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহরের একটি কলোনিতে বসবাস করছেন। শনিবার ঘরে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন পৌরসভার কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায়। পানিতে সব কিছু ভেসে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। গাড়িতে করে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে শুনে ত্রাণের জন্য ছুটছিলাম।

জানা যায়, উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ না পাওয়ায় খাদ্য সংকটে ভুগছে আশ্রিত মানুষ। গত বৃহস্পতিবার থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি এলাকার প্রবাসী, বিত্তশালী ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।

জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুম আহমেদ জানান, পাইলগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি। ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান, ইতিমধ্যে ৯৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, সব ইউনিয়নে চাল বন্টন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ চলছে। আমি নিজেও ত্রাণ বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত