রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর:

২৮ জুন, ২০২২ ২২:০৬

জগন্নাথপুরে বন্যায় ভেসে গেছে ৩৫১০টি পুকুরের মাছ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভয়াবহ বন্যায় কোটি কোটি টাকার ফিসারির মাছ ভেসে গেছে। ফলে আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন খামারিরা

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সরেজমিনে ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৭ জুন জগন্নাথপুর উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। তলিয়ে যায় জগন্নাথপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম। বাসাবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় হাজার হাজার পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নেন। পানিতে ভেসে যায় ছোট বড় প্রায় চার হাজার পুকুরের মাছ। প্রথমদিকে পানি বাড়ছে দেখে ফিসারির চাষিরা জাল ও বাঁশ দিয়ে উঁচু করার চেষ্টা করলেও বন্যার ঢলে ভেসে গেছে কয়েক কোটি টাকার মাছ।

স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের ভাষ্য মতে, একটি পৌরসভা ও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫১০টি মাছের খামার রয়েছে। তালিকাভুক্ত সবকটি খামার থেকে মাছ পানিতে ভেসে গেছে। তাঁদের দাবি বন্যায় ৪ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।

জগন্নাথপুর পৌর এলাকার হবিবনগরের মৎস্য চাষি মঈন উদ্দিন জানান, ছোট বড় চারটি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলাম গত বছর। এবারের বন্যায় ভেসে গেছে ফিসারির সব মাছ। এতে ৪৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার। বিষয়টি স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।

জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইকড়ছইয়ের বাসিন্দা ফিরোজ আলী জানান, জগন্নাথপুর বাজারের বড় পুকুরসহ মোমিনপুর হাওরে ৪টি পুকুরে মাছ চাষ করেছি। বন্যায় পানিতে পুকুর থেকে মাছ বেরিয়ে গেছে পানির ঢলে। বন্যায় আমার ১৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি মৎস্য অফিসের তালিকাভুক্ত নয় বলে তিনি জানান।

জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৫১০টি খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে চার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত